নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আমাদের অহংকার ও গর্বের সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আইন করেই পঁচাত্তরের খুনীদের শুধু রক্ষাই করেননি, তাদের বিদেশে দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন। ‘জয় বাংলা’ শ্লোগান নিষিদ্ধ করেছিলেন। দালাল আইন বাতিল করে রাজাকারদের পুনর্বাসন করেছিলেন। এরপরও কী আমাদের বলতে হবে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে খুন করেনি।
তিনি বলেন, ৮১ সাল পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের সময় ১৮ বার ক্যু হয়েছিল। যেখানে জিয়াউর রহমান বিনা বিচারে হাজার হাজার সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের ফাঁসি দিয়েছিলেন। এখনো অনেক পরিবার জানে না তাদের সন্তান কোথায় আছে। গুম-খুন-হত্যায় জিয়াউর রহমান পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড করেছেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর কোথাও প্রতিবাদ হয়নি এটি সত্য নয় মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেদিন অস্ত্রের মুখে টুঙ্গিপাড়ায় প্রতিবাদ হয়েছিল। জানাযা না পড়েই বঙ্গবন্ধুকে দাফন করতে চেয়েছিল। কিন্তু টুঙ্গিপাড়ার মানুষ এর প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, একজন মুসলমানকে জানাযা না পড়ে দাফন করা যাবে না। সেখানে বঙ্গবন্ধুকে ইসলামী নিয়মে জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে।
বোচাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বিপুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম ইশানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সধারণ সম্পাদক মো. আফছার আলীসহ ছয় ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বোচাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সৈয়দ হোসেন, সেতাবগঞ্জ পৌর সভার মেয়র মো. আসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নইমউদ্দীন শাহ, আব্দুস সবুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মো. মামুন, শামীম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জুলফিকার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. ফিরোজ্জামান কবীর, দপ্তর সম্পাদক এম বিল্লাহ জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম খন্দকার কায়ছার প্রমুখ।