বিধিনিষেধ চলাকালে পণ্যবাহী পরিবহন যাতে কোনোভাবেই যাত্রীবাহী পরিবহনে রূপ না নিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সোমবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি বিআরটিএ’র চলমান কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
মন্ত্রী বলেন, ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণায় লঞ্চ ও ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে না। এ ধরনের মনোভাব করোনা সংক্রমণকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স বিষয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন সীমিত পর্যায়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্সের এনরোলমেন্ট এবং বায়োমেট্রিক দেওয়ার কাজ শুরু হলেও তেমন গতি পায়নি।এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানকে দ্রুততম সময়ে লাইসেন্স কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাকালে গণপরিবহন চলাচলে শর্ত প্রতিপালনের ক্ষেত্রে অনেক মালিক শ্রমিক কথা রাখেনি। আবার কেউ রেখেছে। অনেকে সমন্বয় করা ভাড়া আদায় করেছে ঠিকই, কিন্তু অর্ধেক আসন খালি রাখেনি। এসব বিষয়ে এবং গণপরিবহনে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলকসহ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের বিষয়ে কঠোর মনিটরিং জোরদার করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের সংখ্যা বাড়িয়ে নিয়মিত পরিচালনা করতে হবে। জেলা পর্যায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। যেখানে অনিয়ম সেখানে ব্যবস্থা নিতে হবে। কাউকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। গণপরিবহন পরিচালনায় সরকার যখন যে নির্দেশনা দেবে তা কঠোরভাবে কার্যকর করতে হবে। এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিশেষভাবে অনুরোধ জানান ওবায়দুল কাদের।