পদ্মা নদীর বর্তমান গতি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যৌথ সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের পদ্মা সেতু এলাকাসহ শিমুলিয়া, বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি পয়েন্টগুলো পরিদর্শন করেন তারা।
সার্ভে শেষে প্রতিনিধি দলটি জানায়, সবার সঙ্গে আলাপ করে ও নদী পর্যবেক্ষণ করে লঞ্চ চলাচল পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্রোত আরো অবনতি হলে লঞ্চও বন্ধ করা হবে। আর স্রোত কমলে ফেরি চালানো হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক আ. মতিন সরকার, বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম আব্দুস সোবাহান প্রমুখ।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির বৃদ্ধির সঙ্গে স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে মূল পদ্মা নদীর পিলার পয়েন্টগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণি স্রোত। পদ্মায় বর্তমানে ৪.৯৮ নটিক্যাল মাইল গতিতে স্রোত বহমান রয়েছে। যা পদ্মা সেতুর পিলার পয়েন্টে এসে বাধার সৃষ্টি হয়ে ঘূর্ণি স্রোতের সৃষ্টি হয়ে স্রোতের গতিবেগ কয়েকগুনে বেড়ে যাচ্ছে। গত ছয় দিন ধরে পদ্মায় অস্বাভাবিকহারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় পদ্মায় পানি বেড়েছে ৫ সেন্টিমিটার।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দুর্ঘটনা এড়াতে সন্ধ্যার পর এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটা থেকে ফেরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যানবাহন বিকল্প রুটে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসিসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আমরা পদ্মা নদী ও বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করলাম। সবার সঙ্গে আলাপ করে ও নদী পর্যবেক্ষন করে লঞ্চ চলাচল এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর নিচ দিয়েই করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্রোত আরো অবনতি হলে লঞ্চও বন্ধ করা হবে। আর স্রোত কমলে ফেরি চালানো হবে।
তিনি আরো বলেন, সাময়িকভাবে শুধু হালকা যানবাহন নিয়ে ফেরি মাঝিকান্দি দিয়ে চালানোর বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। এতে পদ্মা সেতু বাইরে থাকবে। তবে সেক্ষেত্রে আরো গভীরভাবে পর্যালোচনার বিষয় রয়েছে।