রংপুর নগরীতে আসমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানার পুলিশ মুলাটোল হকের গলি থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন। স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় আসমা বেগমকে মারধর করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আসমার পরিবার।
রংপুর নগরীর গোলাম মোস্তফা গোলাপের মেয়ে আসমা বেগমের সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ বাঘেরপুল এলাকার লাল মিয়ার ছেলে চা বিক্রেতা মিলন মিয়ার (৪২)। তারা নগরীর মুলাটোল হকের গলিতে বসবাস করছিল। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে মিলনের সঙ্গে আসমার বিরোধ লেগেই ছিল। শুক্রবার সকাল ৮টায় মিলন তার শাশুড়ি মনিজা বেগমকে ফোন করে জানায় তার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই স্বামী মিলন মিয়া পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ আসমার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। আসমার মা বলেন, মিলনের সঙ্গে পাশের এক নারীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এনিয়ে তাদের প্রায়ই ঝগড়া হতো। মিলন মিয়া এ নিয়ে একবার আমার মেয়ের মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছিল। পরে আমরা পারিবারিকভাবে সেটি মীমাংসা করেছি। আমার মেয়েকে মিলন পিটিয়ে হত্যা করেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত ও রক্তের চিহ্ন রয়েছে। আমি মিলনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) হোসাইন আলী বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। এছাড়া পলাতক মিলন মিয়াকে আটকে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।