1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ অপরাহ্ন

পরবর্তী মহামারীর জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত রাখা দরকার, বললেন ডব্লিউএইচও প্রধান

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২৪ মে, ২০২৩

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস এক সতর্কবার্তায় বলেছেন, পরবর্তী মহামারী, যা এমনকী কোভিড-১৯ এর চেয়েও মারাত্মক হতে পারে, তার জন্য বিশ্বকে প্রস্তুত রাখা দরকার।

এমন এক সময়ে তিনি এ সতর্কবার্তা দিলেন, যখন বিশ্বজুড়ে কোভিড রোগীর সংখ্যা একরকম স্থিতিশীল আছে।

“জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বৈশ্বিক জরুরি অবস্থার ইতি মানেই কোভিড-১৯ আর বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি নয়, এমন নয়।

“আরেকটি ধরনের উদ্ভব এবং তার কারণে রোগ ও মৃত্যুর নতুন ঢেউয়ের ঝুঁকি রয়ে গেছে, নতুন আরেকটি রোগের আবির্ভাব এবং সেটির আরও মারাত্মক হওয়ার সম্ভাবনাও থেকেই যাচ্ছে,” ৭৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে দেওয়া প্রতিবেদনে গেব্রিয়েসুস এমনটাই বলেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

স্বাস্থ্যজনিত এক সংকটের মধ্যে আরেক সংকটের আবির্ভাব এবং পরিস্থিতি আরও নাজুক হওয়ার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে ডব্লিউএইচওর এই মহাপরিচালক বলেন, “আমরা যেসব হুমকির মুখে রয়েছি, মহামারীই তাদের মধ্যে একমাত্র নয়, বরং এর অবস্থান বেশ খানিকটা দূরে।”

তিনি সব ধরনের স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় কার্যকর বৈশ্বিক ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

“যখন পরবর্তী মহামারী কড়া নাড়বে এবং সেটি আসবেই, তখন আমাদেরকে সমষ্টিগতভাবে আগে থেকে নির্ধারিত ও উপযুক্ত উপায়ে জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে,” পরামর্শ তার।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসডিজি) স্বাস্থ্য বিষয়ক যেসব লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে, সেগুলোর ওপর কোভিড-১৯ এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে মত গেব্রিয়েসুসের। এসডিজির ওই লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় ঠিক করা হয়েছিল।

২০১৭ সালের বিশ্ব স্বাস্থ্য সমাবেশে যে ‘ট্রিপল বিলিয়ন’ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, মহামারী তার অগ্রগতিতেও মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য তার।

এই ট্রিপল বিলিয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ডব্লিউএইচও ২০২৩ সালের মধ্যে ২০১৭তে যা ছিল, তার বাইরে অতিরিক্ত ১০০ কোটি মানুষকে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ, ১০০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থায় তুলনামূলক ভালো সুরক্ষাব্যবস্থা এবং ১০০ কোটি মানুষকে অধিকতর ভালো স্বাস্থ্য ও সুস্থতার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল।

“মহামারী আমাদেরকে নির্ধারিত পথ থেকে খানিকটা সরিয়ে দিয়েছে, তবে এটি একইসঙ্গে কেন এসডিজিকে ধ্রুবতারা বিবেচনায় নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে এবং কেন মহামারী মোকাবেলার মতোই এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণেও একই দৃঢ়তা ও গরজ দরকার, তা দেখিয়েছে,” বলেছেন ডব্লিউএইচও প্রধান।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি