1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন

পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করতে পুতিনকে সতর্ক করেছেন বাইডেন

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের যুদ্ধে রাসায়নিক কিংবা ট্যাকটিক্যাল পারমাণু অস্ত্র ব্যবহার না করতে রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেন, এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হলে ‘যুদ্ধের চেহারা এমনভাবে বদলে যাবে; যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কখনো দেখা যায়নি’।

তবে এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের ব্যবস্থা নেবে সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিছু বলেননি।

এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তার দেশের পরমাণু শক্তিকে ‘বিশেষ সতর্কাবস্থায়’ রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন।

রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানদের তিনি বলেছিলেন পশ্চিমা বিশ্বের ‘আগ্রাসী মনোভাবের’ কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রায় ৮০ বছর ধরে বিশ্বে পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। অনেক দেশই এই অস্ত্রকে তাদের জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষাকবচ হিসেবে মনে করে।

ধারণা করা হয় যে রাশিয়ার কাছে ৫ হাজার ৯৭৭টি নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বা পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। এই হিসাব দিয়েছে মার্কিন বিজ্ঞানীদের একটি ফেডারেশন।

তারা বলছেন এর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার ওয়ারহেডের মেয়াদ উত্তীর্ণ এবং সেগুলো বাতিল করে দেয়ার কথা।

বাকি সাড়ে চার হাজার কিংবা তার চেয়েও কিছু বেশি ওয়ারহেডের মধ্যে বেশিরভাগ কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র- ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, বা রকেট, যা দূরপাল্লার হামলা চালাতে সক্ষম।

বাকি অস্ত্রগুলো ছোট বা কম বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্র, যা স্বল্প-পাল্লা বা কম দূরত্বের মূলত যুদ্ধক্ষেত্রে বা সাগরে ব্যবহারযোগ্য অস্ত্র।

তবে এর মানে এই না যে রাশিয়ার হাজার হাজার দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত আছে।

বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এই মুহূর্তে রাশিয়ার প্রায় ১ হাজার ৫০০ ওয়ারহেড মোতায়েনকৃত অবস্থায় আছে, যার অর্থ হচ্ছে সেগুলো ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমারু ঘাঁটি ও সমুদ্রে সাবমেরিনে বসানো আছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা এখনো পর্যন্ত খুব কম।

সমরবিদরা বলছেন তুলনামূলকভাবে অল্প দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে ট্যাকটিক্যাল পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে, আর স্ট্র্যাটেজিক পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হতে পারে বহু দূরের টার্গেটে আক্রমণ করার জন্য।

স্ট্র্যাটেজিক পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হলে সেটা পরমাণু যুদ্ধে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে।

সিবিএসের ৬০ মিনিট অনুষ্ঠানের জন্য জো বাইডেন হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎকারটি দিয়েছেন।

এ সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট পুতিন যদি গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার করার কথা বিবেচনা করে থাকেন তাহলে এ বিষয়ে তিনি তাকে কী বলবেন।

‘করবেন না, করবেন না, করবেন না,’ এভাবেই জবাব দেন জো বাইডেন।
খবর বিবিসি

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি