রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক বাহিনীকে বিশেষ সতর্কতায় রেখেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিবিসি ও গার্ডিয়ানের খবর বলছে, ন্যাটো দেশগুলোর আগ্রাসী মন্তব্যের জবাবে পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত করার দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়ার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু বলেন, রাশিয়ার প্রতি বন্ধুত্বহীন পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। তারা আমাদের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে বেলারুশের গোমেল শহরে পথে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ও প্রতিনিধি দলের প্রধান ভ্লাদিমির মেডিনস্কি এমন দাবি করেছেন।
ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তের গোমেল অঞ্চলে আলোচনা হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য প্রস্তুত। গোমেলে ইউক্রেনের প্রতিনিধি দলের আগমনের অপেক্ষায় আছি আমরা।
টেলিভিশনে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মন্তব্য করেছে ন্যাটোর নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। যে কারণে আমি রুশ সামরিক বাহিনীর নিরোধক শক্তিকে যুদ্ধকালীন দায়িত্বের বিশেষ অবস্থায় রাখতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও রুশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। এরপর রুশ পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন লুকাশেঙ্কো। গোমেল থেকে রুশ প্রতিনিধিদের ফিরিয়ে না নিতে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছে অনুরোধ করেন। গোমেল অঞ্চলেই বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রতিনিধি দলের আরেক সদস্য লিওনিড স্লুটস্কি বলেন, ইউক্রেনের সঙ্গে আসন্ন আলোচনায় রাশিয়া কঠোর অবস্থান নেবে। রাশিয়ার প্রধান মিত্রদের একটি বেলারুশ ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দেশটির সীমান্ত দিয়েই প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
এছাড়া ওই যুদ্ধে সমর্থন দেওয়ায় বেলারুশের ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। রোববার জেলেনস্কি বলেন, বেলারুশের ভূখণ্ড থেকে আগ্রাসী পদক্ষেপ নেওয়ার অর্থ হচ্ছে, ওই দেশে বসে কোনো আলোচনা সম্ভব না।
এছাড়া বেলারুশের ভূখণ্ড থেকে নিক্ষেপ করা একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করারও দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার