পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের মোবাইল ফোন ছিনতাইকারীকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পাঁচ দিনেও মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
গত ৩০ মে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে বের হয়ে বিজয় সরণির ট্রাফিক সিগন্যালের যানজটে আটকা পড়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানকে বহনকারী গাড়িটি। তখন গাড়ির গ্লাস খুলে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন মন্ত্রী। এ সময় এক ছিনতাইকারী ছোঁ মেরে ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরপরই পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ব্যক্তিগত সহকারী কাফরুল থানায় মামলা করেন।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ে একজনকে চিহ্নিত করা গেছে।
তার নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি রাস্তার মুখে স্থাপিত উড়োজাহাজের ভাস্কর্যের নিচে ঘুমাত। তাকে ধরতে এখন অভিযান চলছে। নজরদারির মধ্যেই সে আছে, যেকোনো সময় গ্রেফতার হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, রাজধানীর বিজয় সরণি, তেজগাঁও, চন্দ্রিমা উদ্যান, কাফরুল এলাকার ১০-১২ জনের মতো চিহ্নিত ছিনতাইকারীকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এ ছাড়া চন্দ্রিমা উদ্যানের ভিতরের টোকাই-ছিনতাইকারী, শেরেবাংলা নগর মাঠসংলগ্ন এলাকার টোকাই, আগারগাঁওসহ আশপাশ এলাকার স্থানীয় এবং সন্দেহভাজনদের থানায় আনা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও মোবাইল ফোনের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল বিজয় সরণির উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। পুলিশ আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ জব্দ করে বিশ্লেষণ করেছে। কিন্তু কিছুই পায়নি। বিজয় সরণির উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ের কাছে ও নভোথিয়েটারের সামনে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকে। এর মধ্যেও এমন ঘটনা ঘটল। প্রকৃতপক্ষে এটি ছিনতাইয়ের ঘটনা নয়। কোনো হেরোইনসেবী সুযোগ বুঝে ছোঁ মেরে মোবাইল ফোনটি নিয়ে চলে যায়।