পরিচয় গোপন করে একটি চলচ্চিত্রের কাজে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন বলিউড নায়িকা সানি লিওন। তবে তা দৃষ্টিগোচর হওয়ায় সানি লিওনের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করেছে তথ্য মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘১০ম লিবারেশন ডকফেস্ট বাংলাদেশে’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ভারতের ১০ জন শিল্পীকে বাংলাদেশে আসার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে সানি লিওনকে অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সানি লিওন নামে যে তিনি পরিচিত তা গোপন করা হয়। ভিন্ন নামে, মার্কিন নাগরিক দেখিয়ে তার অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। তিনি যে পরিচয় গোপন করেছেন সেটা অপরাধ।
বিষয়টি জানার পর তার বাংলাদেশে আসার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা গোপন করেছে তারা অন্যায় করেছে। যারা তাকে আনতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আমরা ভাবছি।
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে মির্জা ফখরুলের সমালোচনার জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, জিডিপি গ্রোথ রেট, পার ক্যাপিটা ইনকাম ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা আইএমএফ বলছে। বাংলাদেশের যে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, দেশের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। গত ১৩ বছরে সাড়ে চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে মির্জা ফখরুল সাহেবরা খুশি না। কারণ তারা চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক। এজন্যই এসব আজগুবি প্রশ্ন করে।
মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার দেশগুলো নিজের ঘরের মানবাধিকার লঙ্ঘন দেখতে পায় না অভিযোগ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ব মানবাধিকার নিয়ে আমরা সবাই সোচ্চার। আবার কিছু কিছু দেশ অনেক বেশি সোচ্চার। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য সেসব দেশ মানবাধিকার নিয়ে অনেক বেশি সোচ্চার ও পরদেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে তা নিয়ে খুবই সোচ্চার। কিন্তু নিজের দেশে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় সে বিষয়ে সোচ্চার না। আমরা যারা মানবাধিকার নিয়ে কাজ করি, নিজেদের ঘরের মধ্যে মানবাধিকার রক্ষা করি না।
বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে চলচ্চিত্র শিল্পের খারাপ দিন কেটে গেছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিনেমার খারাপ দিন কেটে গেছে। আগামী দিন ভালোই হবে, খারাপের দিকে যাবে না সিনেমা।
সিনেমায় অনুদানের প্রয়োজন থাকলেও শুধু অনুদান দিয়ে সিনেমা শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা যাবে না জানিয়ে তিনি বলেন, অনুদাননির্ভর শিল্প এটি নয়। অনুদান দেওয়া হয় ভালো সিনেমা নির্মাণে জন্য। সিনেমা শিল্পের বিকাশে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা এই সরকার নিচ্ছে।
এবারের আয়োজনে বিশ্বের ১৯৬টি দেশ থেকে জমা হয়েছিল একুশ শতাধিক ছবি, জমা করা ছবির মধ্য থেকে ৪০টি দেশের ১৪০টি ছবি প্রদর্শিত হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর উপস্থিত ছিলেন।