সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদের ত্রয়োদশ (বাজেট) অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ মন্তব্য করেন। সকাল ১১টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে এই অধিবেশন শুরু হয়।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আজকে দেখলাম, পরীমনি। তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সে মৃত্যু পথযাত্রী। তাকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। কয়েকদিন আগে দেখলাম মুনিয়া। যাকে গুলশানে…। তার সাথে যারা জড়িত…। আইন কি নেই মাননীয় স্পিকার? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি করছে। আজকে অন্য কেউ হলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হতো। তারা নিঃসন্দেহে মাফিয়া মাননীয় স্পিকার।’
‘তাই যে আইন প্রণয়ন করেছেন মাননীয় স্পিকার। সেটা সঠিকভাবে প্রয়োগ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিন, যে আমরা জনস্বার্থে আইন প্রয়োগ করবো।’
সাংসদ হারুন বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বলা ফ্যাশানে পরিণত হয়েছে। তাহলে আমি ধরে নেব, গত কয়েক বছর ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতি নিয়ে যেসব নিউজ হচ্ছে, সেগুলো কি অসত্য। আর অর্থমন্ত্রী বললেন, যারা অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত, তাদের নাম দিন। রাষ্ট্রের কাজ কি? আমাদেরকে কেনো নাম দিতে হবে? যারা অর্থ পাচার করছে তাদের জন্যতো আইন আছে। সে অনুযায়ী আইনটা প্রয়োগ করুন।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সংসদে প্রতিনিয়তই আইন পাশ হচ্ছে। কিন্তু আইনের যদি প্রয়োগ না হয়, তাহলে লাভ কি হবে?’
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘অন্যান্য আইনের মতো এখানে মোবাইল কোর্ট রাখা হয়েছে। আমাদের দেশে আমলাদের যে বিভৎস্য দৌরাত্ম্য দেখছি, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বিদেশে টাকা পাচার করে বাড়ি-গাড়ি করার যে ২৮ জনের তালিকা তার কাছে আছে, রাজনীতিবিদদের পাশাপাশি বেশ বড় একটা অংশ আমলাও আছেন। এই টাকা কোথা থেকে আসে, সেটা একটা প্রশ্ন।’