ঢাকার বনানীর বাসায় পরীমনির সঙ্গেই থাকতেন শামসুল হক। মঙ্গলবার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে পরীমনিকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি ওই মন্তব্য করেন।
শামসুল হক দাবি করেন, “পরীমনি নিজের জন্য জীবনে কিছুই করেনি। সব মানুষের জন্য সে দান করেছে। আর এখন পরিস্থিতির শিকার হয়ে গেছে।”
মাদক মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আদালতে হাজির করা হয়। একই মামলায় তাকে আরও দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে সিআইডি।
এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পরীমনির ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার মামলা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গত ৪ অগাস্ট তার বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে মাদক আইনে মামলা করা হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, পরীমনির বাসা যেন ‘মিনি বার’, সেখান থেকে থেকে মদের পাশাপাশি ইয়াবা ও এলএসডির মত মাদকদ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের অভিযানের দিন শামসুল হক গাজীও বনানীর ওই বাসায় ছিলেন। বাসা থেকে মাদক উদ্ধারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “খালি বোতল ছিল। এখন সেগুলো মাদকের বোতল নাকি কিসের বোতল জানি না।”
নড়াইলে জন্ম নেওয়া শামসুন্নাহার স্মৃতি ঢাকায় এসে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়ে হয়ে ওঠেন পরীমনি। বাবা-মাকে হারানোর পর পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার সিংহখালী গ্রামে নানাবাড়িতেই তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে।
নানা শামসুল হক এক সময় স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পরে পরীমনির সঙ্গে তিনিও ঢাকায় চলে আসেন।
পরীমনির মুক্তি দাবি করে তার নানা বলেন, “নিজে একটা ফ্ল্যাট করে নাই, কিছু করে নাই। এফডিসিতে প্রত্যেক বছরে গরীবদের জন্য গরু কোরবানি দেয়। নিজে কিছু করে নাই, সে সব মানুষের জন্য বিলিয়ে দেয়। আল্লাহ পাক যদি ওরে মাফ করে আর কি।”