বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের মতো ম্যাচ। সেখানে প্রথম একাদশে নেই দলের সেরা ফুটবলারই! মরক্কোর বিরুদ্ধে ফের্নান্দো স্যান্টোসের কাণ্ড দেখে চোখ কপালে উঠেছিল ফুটবলবিশ্বের। এমন ম্যাচেও নাকি বেঞ্চে বসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো ! একে কি বলবেন? ট্যাকটিক্স নাকি ঔদ্ধত্য? অন্যরা যাই বলুন না কেন, সিআর-প্রেমিকা জর্জিনা রডরিগেজ মনে করছেন, কোচের ইগোর জন্যই বাইরে বসতে হয়েছে রোনাল্ডোকে আর ম্যাচ হেরেছে পর্তুগাল।
শনিবার বিশ্বকাপ থেকে সিআর-বিদায় নিশ্চিত হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জর্জিনা। সিআর-প্রেমিকার নিশানায় এক এবং একমাত্র কোচ স্যান্টোস। ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে রোনাল্ডোর হাসিমুখের ছবির সঙ্গে স্প্যানিশ ভাষায় লিখেছেন, “আজ তোমার কোচ তথা প্রিয় বন্ধু একটা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই বন্ধু, সবসময় যার প্রশংসা শুনি তোমার মুখে, যাকে এত সম্মান কর তুমি।”
এখানেই না থেমে জর্জিনা আরও বলেছেন, “তুমি শেষ পর্যন্ত মাঠে নামার পর দলের খেলায় কতটা পরিবর্তন হয়েছে, তা সারা বিশ্ব দেখল। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তোমার মতো একজনকে এভাবে উপেক্ষা করা যায় নাকি! বিশ্বের সেরা ফুটবলার, নিজের সেরা অস্ত্রকেই ব্যবহার করল না! জীবন আমাদের রোজ শেখায়। আজও আমরা হারিনি, অনেক কিছু শিখলাম।” কয়েকদিন আগে নিজেকে রোনাল্ডোর প্রিয় বন্ধু বলে দাবি করেছিলেন স্যান্টোস। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলেই জর্জিনা খোঁচা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
স্যান্টোসের কাজে ক্ষুব্ধ সিআরের দুই বোন কাতিয়া আর এলমাও। ইনস্টাগ্রামে রোনাল্ডোর কান্নায় ভেঙে পড়া ছবির সঙ্গে কাতিয়া লিখেছেন, ‘পর্তুগাল শুধু যে বিশ্বকাপটাই হারিয়েছে, এমন নয়।’ আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এই হারের দায় কার কার উপর চাপানো হয়, সেটা দেখতে আগ্রহী। পর্তুগালের ধারভাষ্যকাররাও সম্ভবত নিজেদের চাকরি বাঁচানো নিয়ে চিন্তিত। নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। খারাপ লাগছে। তবে এই হারের দায় তোমার নয়। পর্তুগাল দলটার জন্য খারাপ লাগছে। তোমরা মাথা উঁচু করে এগিয়ে চল। ঈশ্বর সবকিছু দেখছেন।’ সেই স্টোরির ছবি শেয়ার করে এলমা লিখেছেন, ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি!’ সঙ্গে স্যান্টোসকে খোঁচা দেওয়া অন্যের স্টোরি শেয়ারও করেছেন তিনি।