যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে নতুন আরেকটি বিরতিহীন ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন এই ট্রেনের নাম ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে নতুন এই আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা শুরু হবে। সেই লক্ষ্যে আজ একসঙ্গে তিন দিনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার এ খবর নিশ্চিত করে বলেন, সকাল ৮টা থেকে কক্সবাজার রুটের নতুন আন্তঃনগর ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর ট্রেনের ক্ষেত্রে ১০ দিন আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে, সেই হিসেবে সময় অতিবাহিত হওয়ায় আজ ১০, ১১ ও ১৩ জানুয়ারির আগাম টিকিট বিক্রি করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনন্ডন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্য ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য সদ্য আমদানি করা নতুন কোরিয়ান কোচ দিয়ে একজোড়া ননস্টপ আন্তঃনগর (পর্যটক এক্সপ্রেস) ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে এ ট্রেন চলাচল করবে। পর্যটক এক্সপ্রেস নামের নতুন ট্রেনের নম্বর ৮১৫/৮১৬। ট্রেনে মোট আসন সংখ্যা থাকবে ৭৮৫টি। ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ থাকবে রোববার। ট্রেনে কোচ থাকবে ১৬টি। ট্রেনটির ওয়াটারিং, সার্ভিসিং ও ক্লিনিং করা হবে কক্সবাজার।
পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি
কক্সবাজার থেকে পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাত ৮টায় ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে। চট্টগ্রামে ২৫ মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে বিরতিহীনভাবে ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৫০ মিনিটে। ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে ৩ মিনিট বিরতি দিয়ে রাত ৩টা ৫৩ মিনিটে ছেড়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌছাবে রাত সাড়ে ৪টায়।
আবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে ভোর ৬টা ৩৮ মিনিটে। সেখানে ৫ মিনিট বিরতি দিয়ে ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে ছেড়ে বিরতহীনভাবে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে। সেখানে ২০ মিনিট বিরতি দিয়ে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে বিকেল ৩টায়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কমলাপুর রেল স্টেশনের কাউন্টারসহ অনলাইনে টিকিট বিক্রি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ ট্রেনটি পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।