বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা : করোনায় বেকার হয়ে পড়েছে অত্র এলাকার সর্বস্তরের শ্রমজীবী মানুষ তাদের যেমন একটু শ্রম দেওয়ার স্থান হিসাবে দাড়িয়েছে অবৈধ ইটভাটা অপরদিকে কৃষক সমাজ পড়েছে অবৈধ ইটভাটার কারণেপেড়েছে ব্যাপক ভাবে বিপাকে। রোদে পুড়ে, ঝড়ে ভিজে মাঠের ফসল রোপন করে শেষ সময়ে আগে তা পুড়ে হয় শেষ কৃষকের চোখের সামনে। এমনি ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধা জেলার ন্যায় পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে যত্রতত্র গড়ে ওঠা ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়ছে মাঠে কৃষকের জমির ধান, আম-জামসহ বিভিন্ন ফল ও ফসল। আর নষ্ট হচ্ছে বসতবাড়ির টিনের চালা। বাতাসে মিশে বিষাক্ত কার্বন পরিবেশ ব্যাপক হুমকির মুখে। উপজেলা ঢোলভাঙ্গা এলাকায় প্রায় ৪ শত বিঘা জমির ধান অবৈধভাবে গড়ে উঠা ইটভাটার গ্যাসে পুড়ে গেছে । এসব ইটভাটা অপসারণ এবং ফসলের ক্ষতিপুরণের দাবীতে উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজারের পূর্বপার্শ্বে করোনার এসময় লকডাউন চলাকালে গতকাল ৫ এপ্রিল সোমবার সকাল ১০টায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও তাদের পরিবার। অবৈধ ইটভাটা বিষাক্ত গ্যাসে শতশত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক অংশ নিয়েছিলো এ মানববন্ধনে।
ক্ষতিগ্রস্থদের অভিযোগ, উপজেলার বিভিন্ন ফসলি মাঠ ও আবাসিক এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে বেশকিছু ইটভাটা। ফলে অন্তত ২০ গ্রামের ধানসহ জমির ফসল ও আম, জাম, নারিকেল, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পুড়ে বিবর্ণ হচ্ছে ধান গাছ গুলো আর কিছু দিন গেলে ফসল ঘরে তুলতে পারতো কৃষক কিন্তু ইটভাটার বিষাক্ত গ্যাসে পুড়লো কৃষকের স্বপ্নের ফসল। ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অত্র এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ভুক্তভোগী কৃষক তোতা মাস্টার, আবু সাঈদ ইসলাম, ইমরান সরকার, ইসলাম মিয়া,এসময় স্থানীয কৃষকদেৱ মধো বক্তব্য ৱাখেন,ইউনিয়ন আওয়ামীলিগেৱ যুগ্ম সাধাৱণ সম্পাদক হারুন অৱ রশিদ সরকাৱ ফিটুল,প্রধান শিক্ষক মোমিনুল ইসলাল , মানিক ও তাতীঁলীগ নেতা ৱাসেল প্রমুখ। এ সময় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন জেলা সংসদের সভাপতি ওয়ারছে সরকার।
বক্তারা বলেন, অপরিকল্পিত ইটভাটার কারণে এলাকার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আশপাশের কয়েকশ একর জমির ধানে চিটা ধরেছে, আমসহ সবধরণের ফল গাছ পচে যাচ্ছে। তারা দাবি করেন, পরিবেশ ধ্বংসকারী এইসব ইটভাটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবী জানান।
মানববন্ধন চলাকালে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান নয়ন সেখানে উপস্থিত হলে উপস্থিত সকলে নিজ অভিযোগ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমান তুলে ধরেন। তিনি কৃষকদের কথা শোনেন এবং ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এসময় উপজেলা সিনিয়ৱ কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম এবং ওসি (তদন্ত) মতিউর রহমান ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সঙ্গে মতবিনিময় করে সকলে মিলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেৱ তালিকা করে ক্ষতি পুৱনেৱ প্রযোজনীয় ব্যবস্তা গ্রহনেৱ আশ্বাস প্রধান করেন। এসময় তারা করোনা কালে স্বাস্থ্যবিধি মেনের চলার জন্য সর্বসাধারণকে সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার ন্যায় পলাশবাড়ী উপজেলা জুড়ে বৈধভাটার চেয়ে অবৈধ ইটভাটার সংখ্যাই বেশী এসব ভাটার কালো ধোয়া ও বিষাক্ত গ্যাসে প্রাকৃতিক পরিবশে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। বার বার অভিযান করে জরিমানা আদায় ও আগুন নিভিয়ে দেওয়ার পরে আইনের তোয়াক্কা না করে এক প্রকার সকল বিভাগকে ম্যানেজ প্রক্রিয়া দিনের পর দিন চলছে এসব অবৈধ ইটভাটা। এরপরে ইটভাটা এলাকায় ফসলি জমি,গাছ গছালি,বসতবাড়ী রাস্তাঘাট ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। অবৈধভাটা মালিকদের শাস্তি ও জেলার ন্যায় পলাশবাড়ী উপজেলার পরিবেশ রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নিবেদন জানিয়েছেন সচেতন মহল।