বিশেষ প্রতিনিধি গাইবান্ধা :
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী পৌর এলাকার হেজলগাড়ী গ্রামের মুখে বসতবাড়ীতে টাকার লোভে জসিম মিয়ার স্ত্রী স্মৃতি বেগম পাশ্ববর্তী বসবাসকারী স্থানীয় এক প্রতিবন্ধি কিশোরী (১৪) কে মুরগী ছিলে দিলে মুরগীর পা দিবে বলে ডেকে নিয়ে আঙ্গিনায় কিছুক্ষণ সময় বসে থেকে প্রতিবন্ধি কিশোরীকে ঘর হতে মোবাইল আনতে বলে এসময় কিশোরী ঘরে ঢোকার পরে চাচী স্মৃতি বেগম বাহির হতে ঘরে দরজা লাগিয়ে দেন। আর আগে হতে ঘরের মধ্যে উৎ পেতে থাকা ধর্ষক এক সন্তানের জনক আশরাফুল মিয়া টোনা (২৫) প্রতিবন্ধি কিশোরীকে মুখচিপে ধরে আটকে ফেলে এরপর ধর্ষকের সেই বর্ণনা কথা কিশোরী যখন বলছে তার দুচোখ বয়ে ঝর ঝর করে পানি পড়ছে। শত চিৎকার হাতের মুঠোয় শেষ হয়ে গেছে আকাশ বাতাসে সেই চিৎকার কম্পিত হলেও সেই দালাল নারী ও ধর্ষকের কোন প্রকার হৃদয় গলেনি।
এরপর প্রতিবন্ধি কিশোরী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তারা তাকে বেশকিছু সময় সেই ঘরে শুয়ে রাখে এরপর দালাল স্মৃতি ও ধর্ষক আশরাফুল মিয়া টোনা তাকে বিবাহ করবেন বলে অঙ্গিকার করেন এবং তার বাবা মা বা অন্য কাউকে বললে তার মান সম্মান যাবে বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে রাখেন। এরপর কোন এক ফোন কল রেকর্ডে ধর্ষনের ঘটনাটি ফাঁস হয়। তখন বিষয়টি জানাজানি হলে ঢাকায় বসবাকারী উক্ত কিশোরীর মা বাড়ীতে এসে স্থানীয়দের নিয়ে উক্ত বিষয়টি জানেন ও ভুক্তভোগী কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রমাণ পাওয়ার পর এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
ধর্ষক আশরাফুল মিয়া টোনা (২৫) জগরজানি গ্রামের মধু মিয়া ছেলে। সে বিবাহিত তার স্ত্রী ও একটি শিশু সন্তান রয়েছে। বর্তমানে সে পলাতক থাকলেও আইন অনুযায়ী বিচার চেয়েছেন ধর্ষকের পিতা মাতা।
ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্বীকার করলেও তার নির্দোষ বলে দাবী করেন জসিম ও তার স্ত্রী স্মৃতি বেগম। তারা প্রতিবন্ধি কিশোরী সম্পর্কে চাচা চাচী।
প্রতিবন্ধি কিশোরীর মা জানান, আমি ও আমার স্বামী ঢাকায় থাকি আমার প্রতিবন্ধিকিশোরী ও আমার মা এখানে বসবাস করে। আমরা না থাকার সুযোগে মুরগীর পা দেওয়ার কথা বলে আমার কন্যাকে ধর্ষকের হাতে তুলে দিয়ে ধর্ষণ করিয়ে নেয়। অর্থের লোভে পড়ে তারা আমার মেয়েকে নষ্ট করে। এর প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমি আইন অনুযায়ী ধর্ষক ও তার সহযোগীদের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমানকে অবগত করলে তিনি অভিযোগ অনুযায়ী তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।