হতদরিদ্র দিনমজুর একজন নির্মাণ সহযোগী মিন্টু মিয়া (২৬)। হাতে করা পেটে খাওয়া-নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। মাথা গোঁজার ঠাই বলতে ২ শতাংশের এক চিলতে জমি। ৫ সদস্যের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম মিন্টু মিয়া দুরারোগ্য লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুমুখে ধাবিত হচ্ছে। স্রষ্টার আনুকুল্য এবং মানবিক সহায়তাই এখন তার একমাত্র ভরসা।গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের বরিশাল গ্রামের কানিপাড়ার মৃত দুলা মিয়া ও জুলেখা বেগম দম্পতির ছেলে মিন্টু মিয়া। এখানেই তাদের বসতি। একই অন্নে মিন্টু মিয়া তার মা-স্ত্রী আখিতারা বেগম, ১০ বছরের মেয়ে মিম ও দেড় বছরের ছেলে রাকিবকে নিয়ে তাদের সংসার।করোনার এইসময় এমনিতেই কাজকর্মের কোন সুযোগ নেই। গরীবের সঞ্চয় বলতে হাতে যা ছিল কর্মহীন বসে খেয়ে এবং রোগ নির্ণয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তা অনেক আগেই শেষ করেছেন। উপরন্তু অন্যের নিকট ধারদেনায় পরিবারটি জর্জরিত।উপায় বলতে আর কোন কিছুই নেই।অন্যের সাহায্য-সহযোগিতায় হয় তাদের অন্নের সংস্থান।
অপরদিকে; চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে যানবাহন ভাড়া, ওষুধপত্র এবং ভালোমন্দ পথ্য সামগ্রীর ব্যয়ের বিষয়টি যেন মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে দেখা দিয়েছে। সবমিলিয়ে অন্যের উপর নির্ভরশীল পরিবারটি যেন হাঁপিয়ে উঠে চোখে সরষে ফুল দেখছে। পরিবারটি বরাবরই মানবিক মানুষের কল্যাণ সহাযতায় সংসারের ভরনপোষণসহ চিকিৎসা ব্যয় চালিয়ে আসছিল। উন্নত চিকিৎসা ব্যয়ে কমপক্ষে আরো ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। এমতবস্থায় চিকিৎসা ব্যয় মেটানো আদৌ সম্ভব হবে কি-না এ চিন্তায় পরিবারটি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অপরের মানবিক সহায়তা ছাড়া সামনে তাদের আর কোনো পথ নেই। দীর্ঘদিন রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাসেবা নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে স¤প্রতি ঢাকার মহাখালিতে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তেমন উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না থাকায় সে গ্রামের বাড়ীতে ফিরে আসে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার সুস্থতায় মোটা অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু সে সঙ্গতি তাদের আদৌ নেই। দুর্দশাগ্রস্ত পরিবারটি আর্থিক সহায়তায় সমাজের সর্বস্তরের দানশীল-দয়ালু ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধি, বিত্তশালী-স্বচ্ছল ব্যবসায়ি, রাজনীতিক, ব্যাংক-বীমা, জিও-এনজিও, মন্ত্রী-এলাকার সাংসদ ও সর্বোপরি মমতাময়ী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক আর্থিক সহায়তা কামনা করেছেন। সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা (বিকাশ-০১৭৫০-২৭৬৫০৯)।