ঈদ উপলক্ষে সোমবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিংমল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, পহেলা বৈশাখ নিয়ে কোনো হুমকি এখন পর্যন্ত আমরা পাইনি। তবে পহেলা বৈশাখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইজিপি বলেন, পহেলা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সারাদেশের মার্কেট, শপিংমল ও রাস্তাঘাটের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইফতার, সেহেরি ও তারাবির নামাজের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ একযোগে পুলিশের সব ইউনিট কাজ করছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঢাকা শহরের সবগুলো মার্কেটে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং বিভিন্ন স্তরে নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়েছে। সহজে মার্কেটে চলাচলের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে।
ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে আইজিপি বলেন, ডিএমপি কমিশনার পর্যন্ত রাস্তায় দায়িত্ব পালন করা ফোর্সের সঙ্গে ইফতার করেন। অতিরিক্ত কমিশনাররাও যানজট কমাতে ইফতারের আগ পর্যন্ত রাস্তাতেই দায়িত্ব পালন করেন। তবে বাস্তব কিছু সমস্যার কারণে আমাদের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা থাকার পরও জনগণের প্রত্যাশিত মাত্রায় সেবা হয়তো আমরা দিতে পারি না।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে চুরি-ছিনতাই প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে পুলিশ প্রধান বলেন, ঢাকা মহানগরে ছিনতাই রোধে সাদা পোশাক, পুলিশের ইউনিফর্মে ও ডিবির বিশেষ অভিযান চলছে।
মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনে পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, টাকা পয়সা লেনদেনে যদি কেউ পুলিশের সহায়তা চায়, আমরা সার্বক্ষণিক সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছি। যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা করা যাবে।