পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মাত্র দুই দিন আগে তিনি করোনাভাইরাসের টিকা নেন।
শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফয়সাল সুলতান এক টুইটে এ খবর জানান। বলেন, ‘‘বর্তমানে ইমরান খান বাড়িতে সেল্ফ আইসোলেশনে আছেন।” তবে তার সংস্পর্শে আসা অন্য কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা বা আইসোলেশনে আছেন কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইমরান (৬৮) আক্রান্ত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তার বরাত দিয়ে বলা হয়, পাকিস্তানে দিন দিন মহামারীর তৃতীয় ঢেউ তীব্র হচ্ছে। এ অবস্থায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ আরো ছড়িয়ে পড়া আটকাতে দেশবাসীকে তিনি এ রোগের বিস্তার রোধে জারি করা নানা বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ করেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানে ৩,৮৭৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয় বলে জানায় রয়টার্স; মারা গেছেন ৪২ জন।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ইমরান নিয়মিত নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার টিকা গ্রহণের পরদিন তিনি একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে যান।
পাকিস্তানের দৈনিক ডন জানায়, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মালাকান্ড ইউনিভার্সিটির একটি অ্যাকাডেমি ব্লক উদ্বোধনের জন্য খাইবার পাখতুনখাওয়া গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি মাস্ক না পরেই শিক্ষার্থীদের সমাবেশে বক্তৃতা দেন।
একই দিন তিনি সোয়াত এক্সপ্রেস ওয়ে টানেলের উদ্বোধনও করেন।
জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত ছয় লাখ ২৩ হাজার ১৩৫ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১৩ হাজার ৭৯৯ জন।
করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের পর মানবদেহে এ রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে কয়েক সপ্তাহ সময় লেগে যায়। তাই টিকা গ্রহণের পরও যে কেউ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হতে পারেন। এ কারণে টিকা গ্রহণের পরও রোগ সংক্রমণের বিস্তার রোধে জারি করা সব নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়।
গত ১০ মার্চ থেকে পাকিস্তানে গণ টিকা দেওয়া শুরু হয়। প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও চীনের তৈরি টিকার উপর খুব একটা আস্থা না থাকায় তাদের কাছ থেকে তেমন সাড়া না পাওয়ায় পরে আগ্রহী বয়স্কদেরও টিকা দেওয়া শুরু হয়।
জরুরি ব্যবহারের জন্য পাকিস্তান সরকার চীনের তৈরি সিনোফার্মা, ক্যানসিনোবায়ো, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং রাশিয়ার তৈরি স্পুৎনিক ভি টিকার অনুমোদন দিয়েছে।