বেন স্টোকস অধিনায়ক এবং ব্রেন্ডন ম্যাককালাম কোচ। টি-টোয়েন্টির দুই পুরোধার হাতে এখন ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট পরিচালনার ভার। ফলটা হাতেনাতেই দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেট। আগেও দেখা গেছে, বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে টি-টোয়েন্টির মত খেলে খুব সহজে এবং দ্রুত ম্যাচ জিতে যেতে।
তবে, আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ড যেভাবে খেললো, তাতে কী বলা যায়? স্রেফ টেস্ট খেলতে নেমে টি-টোয়েন্টি খেলা নয়? আগেরদিন শোনা গেলো পাকিস্তানে খেলতে এসে অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত ১৪জন। অথচ, আজ রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট খেলতে নেমে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দিনটাকে রীতিমত টি-টোয়েন্টি বানিয়ে ফেলেছে ইংল্যান্ড ব্যাটাররা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৫ ওভার খেলতে পেরেছে ইংলিশরা? টেস্ট ক্রিকেটে এই ৭৫ ওভারে কত উঠতে পারে রান? আক্রমণাত্মক খেলেও বড়জোর ৩০০ থেকে ৩৫০? কিন্তু ইংল্যান্ডজ আজ যা করলো, তা রীতিমত বিস্ময়। এই ৭৫ ওভারে তারা রান তুলেছে ৪ উইকেট হারিয়ে ৫০৬!
বিশ্বাস না হলে আইসিসি, ক্রিকইনফো, ক্রিকবাজের স্কোরকার্ডটা দেখে আসতে পারেন। ৬.৭৪ করে প্রতি ওভারে রান তুলেছে ইংল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতেও সম্ভবত এত দ্রুত রান তোলে না কেউ কেউ।
রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই তারা মারমুখি। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি হয়েছে চারটি। টেস্টের একই দিনে, এক ইনিংসে এতগুলো সেঞ্চুরি হওয়ার নজির রয়েছে কি না তাও খুঁজে বের করা সাপেক্ষ।
জ্যাক ক্রাউলি এবং বেন ডাকেট মিলে শুরু থেকেই ঝড় তুলতে থাকেন। নাসিম শাহ, মোহাম্মদ আলি, হারিস রউফ, জাহিদ মাহমুদ, আগা সালমানদের মত বোলারদের পিটিয়ে এই দু’জন গড়েন ২৩৩ রানের জুটি। ৩৫.৪ ওভারেই এত বড় একটা জুটি গড়ে ফেলেন তারা। ১১০ বল খেলে ১০৭ রান করে আউট হন বেন ডাকেট। ১৫টি ছিল বাউন্ডারির মার। কোনো ছক্কা ছিল না।
১১১ বল খেলে ১২২ রান করেন আরেক ওপেনার জ্যাক ক্রাউলি। অবশ্য ডাকেট আর ক্রাউলি মিলেও শতরানের একটি দারুণ সেঞ্চুরি জুটি উপহার নিয়েছিলেন। একজন ২৩৩ রানের মাথায় দ্বিতীয়জন আউট হন ৩৩৫ রানের মাথায়। অথ্যাৎ ১০২ জুটি গড়েন তারা।
অলি পোপ ১০৪ বল খেলে করেন ১০৮ রান। জো রুটই কেবল ২৩ রান করে আউট হয়ে যান। এরপর জুটি বাধেন হ্যারি ব্রুকস এবং বেন স্টোকস। ৮১ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত রয়েছেন হ্যারি ব্রুকস। ১৫ বলে ৩৪ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন বেন স্টোকস।
পাকিস্তানের হয়ে ২ উইকেট নেন জাহিদ মাহমুদ এবং ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আলি এবং হারিস রউফ।