তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সদস্যপদ স্থগিত করেছে ফিফা। এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে নরম্যালাইজেশন কমিটিকে নিয়োগ দিয়েছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। এর মাঝে ২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত ৬ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল পিএফএফকে। সেসময় সভাপতির পদ থেকে ফয়সাল সালেহ হায়াতকে সরিয়ে এক প্রশাসককে দায়িত্ব দেন আদালত।
এবারের নরম্যালাইজেশন কমিটির প্রধান করা হয় হামজা খানকে। গেল বছর ডিসেম্বরে তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেন হারুন মালিক। চলতি মাসের শুরুতে ঘোষণা আসে, শিগগিরই নির্বাচনের রোডম্যাপ দেবেন তিনি। তবে, ফিফার আদেশে নির্বাচন নিয়ে ঘোর আপত্তি জানায় আশফাক বাহিনী।
সম্প্রতি হারুন মালিকের নেতৃত্বাধীন নরম্যালাইজেশন কমিটির বিরুদ্ধে পিএফএফ হেড কোয়ার্টারে বিক্ষোভ করে আশফাক হোসেন শাহ’য়ের সমর্থকরা। আর এরপরই স্থগিত হলো পাকিস্তানের সদস্যপদ। নরম্যালাইজেশন কমিটি পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে না পেলে, এ স্থগিতাদেশ বাতিল করবেনা ফিফা।
এরআগে, ফেডারেশন ভবনে অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পিএফএফকে সতর্ক করেছিলো ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। ২০১৮ সালে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন- পিএফএফ পরিচালনার জন্য আশফাক হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তাকে নির্বাচিত করেন সুপ্রিম কোর্ট। যদিও তা স্বীকৃতি দেয়নি ফিফা। এদিকে, সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগে, আফ্রিকার দেশ চাদের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যপদও স্থগিত করা হয়েছে।