পাটজাত বহুমুখী পণ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ।
রাষ্ট্রপতি আজ (৬ মার্চ) ‘জাতীয় পাট দিবস -২০২২’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পাট দিবস-২০২২’ উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, জাতীয় পাট দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ – পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশ’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথাযথ হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সোনালি আঁশ হিসেবে খ্যাত পাটের সাথে বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতি গভীরভাবে জড়িত।
এ দেশের সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে যেমন গুরুত্বের দাবিদার, তেমনি বিশ্ব বাজারেও এটি একটি অনন্য পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত। কৃত্রিম তন্তুর পরিবর্তে পাটের ব্যবহার পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পাটখাতকে সুসংহত ও গতিশীল করার উদ্যোগ নেন। পাটখাতের উন্নয়নে নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে পাটের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ এবং ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩’ প্রবর্তন করা হয়েছে। পাট চাষসহ পাটখাতের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও সুরক্ষার লক্ষ্যে ‘পাট আইন, ২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তাগণ ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছে। পাটশিল্পের বিকাশে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিপণনের জন্য বহির্বিশ্বে এসব পণ্যের ব্র্যান্ডিং এর জোরালো উদ্যোগ গ্রহণ করা আবশ্যক।
বিশ্বব্যাপী পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে পাট চাষিগণ পাটের ন্যায্য মূল্য পাবে এবং দেশের অর্থনীতি অধিকতর সমৃদ্ধ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাট থেকে উৎপাদিত বহুমুখী পণ্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে ।
তিনি ‘জাতীয় পাট দিবস -২০২২্ এর সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।