নিজস্ব প্রতিবেদক : জাল টাকা উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়িবা নূর। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) বিমানবন্দর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৯ নভেম্বর বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের (জাল টাকার) মামলায় পাপিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে বহন ও বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশের বাইরে পাচারের উদ্যোগ নেন। মামলার চার্জশিটে ২০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এর আগে গত ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে অস্ত্র মালায় ২০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, বাংলাদেশি দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ জাল টাকা, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ মার্কিন ডলার ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শের-ই-বাংলা নগর থানার মাদক ও অস্ত্র মামলা, গুলশান থানায় মানি লন্ডারিংয়ের মামলা, বিমানবন্দর থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনে (জাল টাকার) মামলা এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।