পাপুয়া নিউগিনি নতুন করে ভূমিধসের আশঙ্কায় প্রায় সাত হাজার ৯০০ লোককে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। শীর্ষ পর্যায়ের একজন প্রাদেশিক কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
এংগা প্রাদেশিক প্রশাসক স্যান্ডিস সাকা বলেছেন, আমরা লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, প্রতি ঘণ্টায় আপনি শিলা ভাঙার শব্দ শুনতে পাবেন। এটি বোমা কিংবা বন্দুকের গুলির মতোই। পাথরগুলো নিচে গড়িয়ে পড়ছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে মাউন্ড মুঙ্গালোর কিছু অংশ ধসে পড়ে এংগা প্রদেশ বলতে গেলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। অসংখ্য বাড়িঘর মাটির সাথে মিশে গেছে। এসব বাড়িঘরে লোকজন তখন ঘুমন্ত ছিল।
পাপুয়া নিউগিনির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র দুই হাজারেরও বেশি লোক চাপা পড়েছে বলে আশংকা করছে। কিন্তু এ পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র পাঁচটি মৃতদেহ।
স্যান্ডিস সাকা বলেন, উদ্ধারকারীরা আবারও ভূমিধসের আশঙ্কায় ৭ হাজার ৯০০ লোককে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে যেন নতুন করে আর কোন প্রাণহানি না ঘটে।
তিনি বলেন, এলাকাটি সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত এবং লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত।
সাকা বলেন, এলাকাটি ব্যবসা-বাণিজ্য, গির্জা, স্কুল বাড়িঘরে জমজমাট ও জনবহুল ছিল। কিন্তু এখন এলাকাটি পুরোপুরি মুছে গেছে। এটি যেন চাঁদের পৃষ্ঠ যেখানে শুধু পাথর ছড়ানো।