পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আজ বৃহস্পতিবার(০৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টা ০৫ মিনিটে এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। রূপপুরে এ অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়েছে। এর আগে প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরেন পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর। এরপর পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম ব্যাচের হস্তান্তর সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।
আনুষ্ঠানিক বক্তৃতা পর্বে শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আলী হোসেন। এরপর ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বক্তৃতা রাখবেন আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি কমিশন (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি।
এ ছাড়া রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভও বক্তৃতা দেবেন।
দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পের অন্যতম সুবিধাভোগী হবে উত্তরাঞ্চল। সার্বিকভাবে দেশের প্রথম পারমাণবিক কেন্দ্রটি মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ২ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করছে সরকার।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প দুটি ইউনিটে বিভক্ত। প্রথম ইউনিটের কাজ এরই মধ্যে ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ ৭০ শতাংশ এগিয়েছে। তবে জ্বালানি এলেও কেন্দ্রটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে। প্রথম ধাপে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। ২০২৫ সালের শুরুতে প্রথম ইউনিটের বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পটি দেশের সবচেয়ে বড় একক প্রকল্প। ১ হাজার ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে) ব্যয়ের এই প্রকল্পে প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থ রাশিয়া ঋণ হিসেবে দিচ্ছে।
রূপপুরে অবস্থানরত সাংবাদিকদের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, আগামী বছরের এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিট জ্বালানি স্থাপনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হবে। সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ হলে ইউরেনিয়াম ফুয়েল স্থাপন করা হবে।