আগেই জানা ছিল, স্ট্রাসবার্গের বিপক্ষে শনিবারের ম্যাচে দেখা যাবে না প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর (পিএসজি) নতুন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি, সার্জিও রামোসদের। তবে তারা ম্যাচ খেলতে মাঠে না নামলেও ম্যাচের আগে ঠিকই নেমেছিলেন মাঠে। নিজেদের নতুন খেলোয়াড়দের স্বাগত জানিয়েছে পিএসজি।
আর এই ম্যাচে স্ট্রাসবার্গকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছেন মাউরো ইকার্দি, কাইলিয়ান এমবাপেরা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে স্ট্রাসবার্গ দুই গোল শোধ করলেও, শেষ পর্যন্ত ২-৪ ব্যবধানে হেরেই বাড়ি ফিরেছে দলটি। পিএসজির এটি পরপর দ্বিতীয় জয়।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে ম্যাচ শুরুর আগে নতুন পাঁচ খেলোয়াড় লিওনেল মেসি, সার্জিও রামোস, জিয়ানলুইজি ডনারুম্মা, জর্জিনিও উইজনাল্ডুম ও আশরাফ হাকিমির প্রেজেন্টেশন করে পিএসজি। এসময় ‘মেসি’ ‘মেসি’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো স্টেডিয়াম। মেসিও হাত নাড়িয়ে জবাব দেন।
তারকা খেলোয়াড়দের স্বাগত জানিয়ে শুরু করা ম্যাচটিতে প্রথম গোলের জন্য মাত্র ৩ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে পিএসজিকে। বেশ দূর থেকেই ডি-বক্সের মধ্যে ক্রস বাড়িয়েছিলেন ডিফেন্ডার দিয়ালো। লাফিয়ে ওঠা হেডে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড ইকার্দি। পিএসজির প্রথম ম্যাচেও গোল করেছিলেন তিনি।
পরে ২৫ মিনিটের সময় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পিএসজির তরুণ তারকা এমবাপে। এতে অবশ্য খানিক ভাগ্যের সহায়তাও পেয়েছেন তিনি। এমবাপের জোরালো শট প্রতিহত করতে মাথা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন স্ট্রাসবার্গের ফরোয়ার্ড লুডোভিক আজক। উল্টো তার মাথায় লেগে দিক পাল্টে বল চলে যায় জালে।
দুই মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করেন জার্মান মিডফিল্ডার হুলিয়ান ড্রাক্সলার। এতে অবদান ছিল এমবাপের। দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। তার গোলমুখে নেয়া শট প্রতিপক্ষের গায়ে লেগে চলে যায় ড্রাক্সলারের কাছে। সেখান থেকে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন ড্রাক্সলার।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল স্ট্রাসবার্গ। ম্যাচের ৫৩ মিনিটের সময় কেভিন গ্যামেইরো এবং ৬৪ মিনিটের সময় স্কোরশিটে নাম তোলেন লুডোভিক আজক। তবে সমতাসূচক গোলটি তারা করতে পারেনি। উল্টো ৮৬ মিনিটে পাওলো সারাভিয়ার গোলে হালি পূরণ করে পিএসজি।