জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এস.এম.এ আজিমকে দোষী সাব্যস্ত করে চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তিনি সংস্থাটির পূর্ত কর্ম বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে কর্মরত।
সেখানে বলা হয়েছে: এস, এম, এ আজিম ও তার স্ত্রী নবতারা নুপুরের বিরুদ্ধে ৯৪ লাখ ২৮ হাজার ১৭২ টাকার তথ্য গোপনসহ ৩ কোটি ৫৭ লাখ ৩৮ হাজার ১৫৫ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
চার্জশিট দাখিলের এ বিষয়টি দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে এস, এম, এ আজিমের বক্তব্য জানতে চেয়ে তার মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেননি।
এর আগে, ২০২১ সালের ১৩ জুন প্রায় চার কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এস এম এ আজিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয় এস এম এ আজিমের স্ত্রী নবতারা নুপুরকে (৫৬)। আজিমকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। আজিম একসময় চট্টগ্রাম পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ছিলেন। দুদক আইন ২০০৪’র ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২–এর ৪(২) ধারা ও দণ্ডবিধি ১০৯ ধারায় মামলাটি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা আছে: নবতারা নুপুরের নামে প্রায় চার কোটি টাকার স্থাবর ও পৌনে এক কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদের প্রমাণ মেলে। এর মধ্যে নবতারার নামে এক কোটি ছয় লাখ টাকার গ্রহণযোগ্য আয়ের তথ্য পাওয়া যায়। এ সময় তিনি ব্যয় করেন ১৬ লাখ টাকা। ব্যয় বাদে তার নিট সঞ্চয় প্রায় ৯০ লাখ টাকা। ফলে নবতারার নামে ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৭ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়, যা তার স্বামী এস এম এ আজিমের চাকরিকালীন দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে উপার্জন করে স্ত্রীর নামে সম্পদ গড়েন।
সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) অফিস মেমোরেন্ডাম নং (ইডি) (রেগ-৮)/এস-১২৩/৭৮-১১৫(৫০০), তারিখ: ২১/১১/৭৮ (এস্ট্যাবলিশমেন্ট মেনুয়্যাল ১ নং ভলিউমের পৃষ্ঠা নং: ৮৯২ ও ৮৯৩) এবং বি এস আর ১ম খন্ডের ৭৩ বিধির ১ ও ২ নং নোট অনুসারে কোন সরকারী কর্মচারী ফৌজদারি মামলায় গ্রেপ্তারের পর বা আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিনে মুক্তি লাভ করলেও সাময়িক বরখাস্ত হিসেবে গণ্য হবেন। তবে, এক্ষেত্রে জটিলতা এড়াতে কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্তের ফরমাল আদেশ জারি করবেন মর্মে উল্লেখ আছে।