প্রথম দেখাতে মনে হতে পারে করোনাকে প্রতিহত করার জন্য পিপিই পরে আছেন এই মহিলা। কিন্তু না, তিনি মূলত পিপিই পরে রাস্তায় ভিক্ষা করছেন। আর এই কান্ড দেখে রীতিমতো থমকে যাচ্ছিলেন অনেকেই। এ ঘটনা ভারতের ওড়িষ্যাতে। রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রতিদিনের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চোখের সামনে এই দৃশ্য দেখে অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ভারত কেন, তৃতীয় বিশ্বের যে কোনো দেশেই ভিক্ষুকদের দেখা পাওয়াটা একটা সাধারণ ঘটনা। কিন্তু পিপিই পরে ভিক্ষা নিঃসন্দেহে অভাবনীয়। আর এভাবেই ওড়িষ্যার এক স্বাস্থ্যকর্মীকে দেখা গেল ভিক্ষা করতে।
জানা গেছে, এটা আসলে এক ধরনের ‘অভিনব’ প্রতিবাদ। ওই মহিলার নাম অশ্বিনী পাড়ি। ওড়িষ্যার ভদ্রক জেলার চরম্পা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। অশ্বিনী কাঠগড়ায় তুলেছেন ওড়িষ্যার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সরকারকে।
তার অভিযোগ, রাজ্যে করোনা মহামারি প্রকোপের সময় তার মতো বহু স্বাস্থ্যকর্মীকে কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি ঠিক হওয়ার পর হঠাৎই কাজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাদের। এরপরই এই প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘করোনা ছড়িয়ে পড়ার পরে যখন রাজ্যের অবস্থা বেশ খারাপ ছিল, সে সময় রাজ্য সরকার আমাদের ‘কোভিড যোদ্ধা’ হিসেবে নিয়োগ করেছিল। আমরা আমাদের পরিবার ও নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের সেবা করেছিলাম। নয়মাস পরে সরকার কোনো রকম বিকল্প কাজের সুযোগ না দিয়ে আমাদের বাদ দিয়ে দিয়েছে।’
ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে জানা গেছে, করোনার প্রকোপ বাড়ার পরে এমন আট হাজার কর্মীকে নিয়োগ করেছিল ওড়িষ্যা সরকার। তাদের চুক্তিভিত্তিক ভাবেই নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু বছরের শেষে তাদের চুক্তি শেষ হওয়ার পরে আর তা পুনর্নবীকরণ করা হয়নি।