গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পিয়াজ শুক্রবার ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাল্লায় (পাঁচ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক ক্রেতা জানান, প্রতিবছর এই সময় আসলেই পিয়াজের দাম বাড়ে। কয়েকদিন আগেও এক কেজি পিয়াজ ৩৫ টাকা দিয়ে কিনেছি। আজ ৫০ টাকা দাম চাইছে। সামনে যদি আরও দাম বাড়িয়ে দেয়, তাই বেশি করে পিয়াজ নিচ্ছি। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়তে থাকলে বেঁচে থাকাই কঠিন হয়ে যাবে।
এদিকে শুক্রবার রংপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, অনেক ব্যবসায়ী সুযোগ পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই এখন থেকে ট্যারিফ কমিশন নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দামে ভোজ্য তেল, ডাল ও চিনি বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করছি। ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পিয়াজ আমদানি করতে হয়। এবার পিয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা বলছেন, তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। প্রতি কেজি পিয়াজের উৎপাদন খরচ পড়ে ১৪ টাকা, আর বিক্রি করছে ১৬ থেকে ১৮ টাকা। সে কারণে বিদেশ থেকে আপাতত পিয়াজ আমদানি করতে নিষেধ করেছেন কৃষকরা।