অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বান্ধবী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাহিদা রুনাইয়ের জামিন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করে দুদক। এ সময় দুদকে পক্ষ থেকে হাইকোর্টে বলা হয়, নাহিদা রুনাইয়ের বিরুদ্ধে অর্থপাচার মামলার তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় জামিনে থাকলে তা তদন্তে প্রভাব ফেলবে। তাই জামিন বাতিল চায় দুদক।
এর আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পায় পি কে হালদারের বান্ধবী নাহিদা রুনাই। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে প্রায় ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এরপর ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর আদালত পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
পি কে হালদার ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (আইএলএফএসএল) থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা, ফাস ফাইন্যান্স থেকে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, পিপলস লিজিং থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়েছে, পি কে হালদারের অর্থপাচারের বিষয়গুলো দেখভাল করতো নাহিদা। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও সরকারের ওপর মহলকে ম্যানেজ করতো সে। আর এসব কাজের পুরস্কার হিসেবে নাহিদাকে শূন্য থেকে কোটিপতি বানায় পি কে হালদার।
তার টাকা পাচারেরো অন্যতম সহযোগী এই নাহিদা রুনাই। কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কত টাকা আত্মসাৎ ও পাচার হচ্ছে সেই হিসাবও রাখতো সে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন মহলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করতে রুনাইয়ের দক্ষতা অপরিসীম। সে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ‘ম্যানেজ’ করতে সিদ্ধহস্ত। ওই মামলায় ২০২১ সালের ১৬ মার্চ বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে নাহিদা রুনাইকে গ্রেফতার করা হয়।