ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এড়াতে শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ফোরামে এমন প্রস্তাব দেন তিনি। জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কী চান তা আমি জানি না। এ কারণে আমি তার সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দিচ্ছি।
এর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার খবরে বলা হয়, শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বাইডেন বলেন, ওয়াশিংটনের ধারণা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। রাশিয়ানরা ইউক্রেনকে ঘিরে রেখেছে। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভই মস্কোর নিশানা।
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধের জন্য দায়ী হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিবিসি জানায়, ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে রাশিয়া। এতে করে সীমান্তে রাশিয়ার সেনা সমাবেশ আগের চেয়ে দ্রুত বাড়ছে। তবে কূটনৈতিকভাবে এ সংকট সমাধানে চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যকার উত্তেজনার পারদ এখন চূড়ান্তে। সীমান্ত থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের দাবির পরও সীমান্তে সেনা বাড়ানোর কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে মস্কো।
স্থানীয় সময় শুক্রবার হোয়াইট হাউসের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানায়, সীমান্তে এখন রুশ সেনা সংখ্যা প্রায় ২ লাখে পৌঁছেছে। ৩০ জানুয়ারি যেই সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এটিকে ‘ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সেনা সমাবেশ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এ সেনা সমাবেশকে নিয়মিত সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে উল্লেখ করছে রাশিয়া।
এর আগে ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি পরিষ্কার নয় দাবি করে রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার সম্ভাবনা ‘প্রবল’ বলে মন্তব্য করেন বাইডেন। তিনি বলেন, রুশ সেনারা ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে কি না তা আমরা এখনো জানি না।
ভাষণে প্রয়োজনে রুশ সামরিক বাহিনীকে রুখতে তিনি সারাবিশ্বের মানুষকে একত্রিত করবেন বলে জানান। তবে আমেরিকান সৈন্যদের ইউক্রেনে পাঠাবেন না বলেও ঘোষণা দেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্যাংক, পদাতিক যুদ্ধযান, স্বয়ংক্রিয় কামান ইউনিট ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করা হয়েছিল।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থায়ী সামরিক ঘাঁটিতে যোদ্ধাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যুদ্ধ উপকরণ ফিরিয়ে নেওয়ার পর সেগুলোকে মেরামত ও পরবর্তী পর্যায়ের প্রশিক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হবে।
সংবাদ সংস্থা আরআইয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, রাতের বেলায় কয়েক ডজন সামরিক যান সেতুটি অতিক্রম করে চলে যাচ্ছে।