উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৬ মে। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এক জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। বিদায় বেলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৩৮ জনের একটি অবৈধ নিয়োগ সম্পন্ন করেন। আর এ নিয়ে মহানগর ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেই বিতর্কিত নিয়োগ কাণ্ড ঘটিয়ে পুলিশের নিরাপত্তায় সেদিন দুপুরে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সোবহান। তবে মেয়াদ শেষের ২০ দিন হয়ে গেলেও এখনও পুলিশি নিরাপত্তায় রয়েছেন তিনি। তার বাসার সামনে ২৪ ঘণ্টা-ই চারজন করে পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছেন। যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নতুন রহস্য।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সোবহানের রাজশাহীস্থ বিহাসের বাসভবনে পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় এমন কর্মকাণ্ড ঘটানোর পর তার নিরাপত্তা সংকট হতে পারে সে কারণেই সব সময় তার বাসভবনের সামনে চারজন পুলিশ দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকরা বলছেন, এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ইতিহাসে এমন ঘটনা হয়তো এর আগে ঘটেনি। উপাচার্য আবদুস সোবহান যেসব বিতর্কিত অন্যায়-অনিয়ম করেছেন কিংবা দুর্নীতি করেছেন, সেসব কারণেই হয়তো তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানের বাসভবনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়া নগরীর বিহাস এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ লোক বসবাস করেন। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও মাথায় রেখে কাজ করছেন তারা।
রাজশাহী মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, উপাচার্যের বাসভবনে ২৪ ঘণ্টা তিনজন কনস্টেবল ও তাদের সঙ্গে একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর মতিহার জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার একরামুল হক জানান, সাবেক উপাচার্য নিজ থেকে নিরাপত্তা চাননি। পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।