বিএনপি-জামাত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে আজ ২৯ অক্টোবর, বেলা ১১ ফার্মগেইট আনন্দ সিনেমা হলের সামনে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ও মোঃ ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় এবং দুপুর ১২টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন-গতকাল কেউ কেউ রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমরা রাজপথে ছিলাম; কেউ কেউ নিজের পেশাগত কাজে কালকে রাজপথে বেড়িয়েছিল। আমরা সবাই রাতে নিজ নিজ বাসায় ফিরেছি শুধু মাত্র আমাদের পুলিশ ভাই বাসায় ফিরতে পারেন নাই; ফিরতে পারেন নাই তার পরিবারের কাছে। বিএনপি-জামাত কর্তৃক নৃশংসভাবে পুলিশ হত্যা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত। গতকালকের ঘটনার মাধ্যমে বিএনপি-জামাতের পুরোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বের হয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন-তারা যখন রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে ছিল তখনও তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সারা বিশ্ব তাদেরকে চিনেছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে, এমন কি দুর্নীতিতে তারা ৫ বার চ্যাম্পিয়ন ছিল। বিএনপি তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তাদের প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাব প্রকাশ করেছে। পুলিশ বাহিনী, সাংবাদিক এবং বিচার বিভাগ তাদের পুরোনো শত্রু। সাংবাদিকদের তারা টার্গেট করে কারণ, সাংবাদিকরা জনগণের সাথে রাজনীতিবিদদের সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাদের সাধারণ জনগণের মুখপাত্র তাই তারা বার বার সাংবাদিকদের উপর আঘাত হানে। বর্তমান পুলিশ বাহিনী তাদের চোখের শুল কারণ তারা পুলিশ বাহিনীকে কোথায় রেখে গিয়েছিল কিন্তু আজকের পুলিশ বাহিনী গর্বের সাথে এদেশের জঙ্গিবাদ নির্মূল করার মাধ্যমে সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। তারা একটা জঙ্গি রাষ্ট্র রেখে গিয়েছিল। আজকে সেই জঙ্গিবাদ এই দেশে থেকে প্রায় চিরতরে নির্মূল। বাংলাদেশের মানুষ, শিশুরা নিরাপদে বাসায় ঘুমাতে পারে। পুলিশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিএনপি-জামাত বার বার পুলিশ বাহিনীর ওপর আক্রমণ করে। আর বিচার বিভাগকে আঘাত করা তাদের পুরোনো চরিত্র। আমরা ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ভুলে যায়নি। সেই সিরিজ বোমা হামলায় তারা কিন্তু প্রেসক্লাব এবং বিচারালয়েও টার্গেট করেছিল। বিচারালয়ে তারা বোমাবাজি করে যেন বিএনপি-জামাতের অত্যাচারের রায় তারা দিতে না পারে।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন-আজকে আপনারা সারাদিন রাজপথে থাকবেন, এই সকল প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-বিএনপি মানে ৭৫ এর খুনি, জঙ্গি, সন্ত্রাসী, গ্রেনেড হামলাকারী, সিরিজ বোমা হামলাকারী সংগঠন। বিএনপি-জামাতের কর্মসূচি মানেই পুলিশ হত্যা, সাধারণ মানুষ হত্যা, বাড়িঘর পুড়ানো, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা। এটাই তো তাদের চরিত্র। আমরা বার বার বলেছি বিএনপি একটি জঙ্গি সংগঠন, সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা যুবলীগ থেকে দাবি তুলেছিলাম বিএনপির রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার জন্য। যদি যুবলীগের দাবি পূরণ হতো তাহলে আমাদের পুলিশ ভাই মারা যেতো না। কাকরাইলের মসজিদে, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ হতো না, বিচারপতির বাসভবনে হামলা হতো না, সাংবাদিকদের উপর হামলা হতো না, তারা অসংখ্য গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করতে পারতো না। সুতরাং বিএনপির চরিত্রই হলো মানুষ খুন, দেশকে ধ্বংস করা। তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন-বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের কোথাও নামতে দেওয়া যাবে না। যেখানেই বিএনপি-জামাত সেখানেই যুবলীগ তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিহত করবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ নবী নেওয়াজ, মোঃ এনামুল হক খান, মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহীদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামসুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপ-কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।