অনেক ব্যবসায়ী তাদের দোকান থেকে পোড়ানো মালামাল নিচে ফেলছেন। পথশিশুরা সড়কে আবর্জনা থেকে মূল্যবান জিনিস খুঁজছে। আগুন নেভাতে ব্যবহার করা পানি এখনো মার্কেটের উপর থেকে নিচে পড়ছে।
ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটে আগুনে পুড়ে যাওয়া মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই মালামাল সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।সরেজমিনে দেখা গেছে, সুপার ও চন্দ্রিমার মাঝখানের রাস্তায় পুড়ে যাওয়া যাওয়া মালামাল রাখা হয়েছে। সিটি করপোরেশন ও পুলিশের সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের কাজ করছেন।
সিআইডি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছেন। সিআইডির পরিদর্শক মর্তুজা কবির বলেন, আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি। সেগুলো ল্যাবে পরীক্ষা করে তারপর এ বিষয়ে বলা যাবে।
অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী চন্দ্রিমা মার্কেটে অগ্নিঝুঁকি আছে- এমন বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। তারা গলিতে রাখা মালামাল সরিয়ে নিতে বলছেন। যারা দোকান খুলেছেন, পুলিশ সদস্যরা মালিক সমিতির নেতাদের নিয়ে তাদের দোকান বন্ধ করার জন্য বলছেন।
সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় ২৪৫ নম্বর দোকানে এস এম ফ্যাশনে ১৩ বছর ধরে কাজ করেন সুমন কাজী। জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের দোকানে তিন হাজার পিস কাপড় ছিল। আগের দিন প্রায় দেড় লাখ টাকার মতো বিক্রি হয়েছে। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু এক টাকাও বের করতে পারিনি। আমার মালিক গোলাম মাসুদ এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন। আমাদের জীবনও অনিশ্চিত হয়ে গেল।
এর আগে, শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগে। ৫টা ৪৩ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের টিম পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
পরে পর্যায়ক্রমে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৩১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেয় বিজিবি, বিমান-নৌ-সেনা বাহিনী। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা স্বাভাবিকসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা।