1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

পেরুর প্রেসিডেন্টের বাসভবনে পুলিশের অভিযান

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের হাতে দেখা যায় দামি ঘড়ি। এই ঘড়ি এতটাই দামি যে তার বেতনভাতা বা আয়ের সঙ্গে কোনোভাবেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই এই অপ্রকাশিত সম্পদ বা বিলাসবহুল ঘড়ির পেছনে সম্ভাব্য দুর্নীতি তদন্তের অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের নথির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৪০ কর্মকর্তা শনিবার (৩০ মার্চ) ভোরে রোলেক্স ঘড়ির সন্ধানে প্রেসিডেন্টের বাসভবনে অভিযান চালায়। প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তে এই সম্পদের ঘোষণা দেননি।

পুলিশ ও প্রসিকিউটর অফিসের যৌথ অভিযান স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল লাতিনায় সম্প্রচার করা হয়। বার্তা সংস্থা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ছবিতে তদন্তকারী দলের এজেন্টদের প্রেসিডেন্টের বাসভবনে একটি স্লেজহ্যামার নিয়ে প্রবেশ করতে দেখা যায়।

সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা রাজধানী লিমার সুরকিলো জেলায় প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘেরাও করার সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তারা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় প্রেসিডেন্টকে অবশ্য বাসভবনে দেখা যায়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের অনুরোধে বিচার বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত অভিযান সম্পর্কে পুলিশ বলেছে, ‘তল্লাশি ও জব্দ করার উদ্দেশ্যেই অভিযান চালানো হয়েছে।’

এ বিষয়ে এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বাসভবনের কর্মীরা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করেছেন। এটি স্বাভাবিক, কোনো ঘটনা ছাড়াই এটি শেষ হয়েছে।’

পেরুর প্রধানমন্ত্রী গুস্তাভো আদ্রিয়ানজেন এই অভিযানের সমালোচনা করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে বলেছেন, ‘যে রাজনৈতিক গোলমাল তৈরি করা হচ্ছে, এটি গুরুতর ব্যাপার। এতে বিনিয়োগ এবং সমগ্র দেশ প্রভাবিত হচ্ছে। গত কয়েক ঘণ্টায় যা কিছু ঘটেছে তা বাড়াবাড়ি এবং অসাংবিধানিক।’

আদ্রিয়ানজেন বলেন, প্রেসিডেন্টের সরকারি প্রাসাদের ভেতরে তার বাসভবনেই ছিলেন। তলব করা হলে তিনি প্রসিকিউটরের অফিসে গিয়ে বিবৃতি দেবেন। প্রধানমন্ত্রী রেডিও স্টেশন আরপিপিকে বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বা প্রেসিডেন্ট বোলুয়ার্তের পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই নেই!

আল-জাজিরার সাংবাদিক মারিয়ানা সানচেজ লিমা থেকে জানান, বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন, প্রেসিডেন্টের ওই ঘড়ির দাম প্রায় ৫ লাখ মার্কিন ডলার।

মারিয়ানা সানচেজ বলেন, প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে বোলুয়ার্তে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছিলেন। সেখানে তার মাসিক বেতন ছিল ১ হাজার ডলার। আর এখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতি মাসে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ ডলার ভাতা পান। ফলে অনেকে বলছেন, প্রেসিডেন্ট এই ঘড়ি কেনার সামর্থ্য রাখেন না।

এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হুয়ান ভিলেনা এই সপ্তাহে বোলুয়ার্তের আদালতে উপস্থিতি দুই সপ্তাহ বিলম্বিত করার আবেদনের বিরোধিতা করেছেন। তদন্তে সহযোগিতা করা এবং ঘড়ি কেনার প্রমাণপত্র সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।

সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, কোনো অনিয়ম হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখতে তারা বোলুয়ার্তের গত দুই বছরের সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনা করবে।

বোলুয়ার্তে (৬১) সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি গত সপ্তাহে বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার হাতে সরকারি প্রাসাদে প্রবেশ করেছি এবং আমি পরিষ্কার হাতে এখান থেকে বের হব।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি