পেলের মৃত্যু সংবাদ নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ফুটবল বিশ্বকে। স্বাভাবিকভাবেই শোক সবচেয়ে বেশি ব্রাজিলে। দেশের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক, একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী মহাতারকাকে হারিয়ে শোকাহত লাতিন আমেরিকার দেশটি। কিংবদন্তির প্রয়াণে ব্রাজিল সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।
এক মাস ধরে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল পেলের। সেখানেই বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক, ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপে আবির্ভাব এবং জাদুর ছোঁয়ায় বিশ্ব ফুটবলকে বিস্ময়ে ভাসান পেলে। তার নায়কোচিত পারফরম্যান্সেই ১৯৫৮ সালে সুইডেনের ওই আসরে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরে ব্রাজিল।
তার তিন বছর পর ব্রাজিল সরকার পেলেকে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ঘোষণা করে। ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালেও দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন তিনি।
ব্রাজিলের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট লুইস ইনাসিও লুলা দা সিলভার বার্তায় ফুটে উঠেছে, ফুটবলে পেলে কী ছিলেন, বল পায়ে পেলে কী করতেন।
‘আমার জীবনের বড় পাওয়া, আমি পেলেকে খেলতে দেখেছি, পাচায়েম্বু ও মোরুম্বিতে তাকে জীবন উপভোগ করতে দেখেছি, যা আজকের তরুণ ব্রাজিলরা পায়নি। পেলের খেলা, না। আমি দেখতাম, পেলেকে মাঠে একটা দারুণ শো উপহার দিত। কারণ, যখন সে বল পেত, সব সময়ই বিশেষ কিছু করত, যা প্রায় সময়ই গোল দিয়ে শেষ হতো।’
লুলার ওই বার্তার কিছুক্ষণ পর দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত জানানো হয়।