ফুটবলের রাজা, ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের মৃত্যুশোক কাটিয়ে ওঠার আগেই আরেক কিংবদন্তিকে হারালো ফুটবল বিশ্ব। এবার ফুটবলপ্রেমীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ইতালির সাবেক অধিনায়ক জিয়ানলুকা ভিয়াল্লি।
মাত্র ৫৮ বছর বয়সেই লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃথিবীকে বিদায় জানালেন চেলসি এবং জুভেন্টাস। প্রায় ৫ বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর টিকতে পারলেন না। হারতে হলো সেই ক্যান্সারের কাছেই।
জিয়ানলুকা ভিয়াল্লির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ইতালিয়ান দৈনিক লা স্তাম্পর শিরোনাম লিখেছে, ‘চিরকালের অধিনায়ক আর নেই। তিনি ছিলেন সবারই আদর্শ।’
২০১৭ সালে প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়ে ভিয়াল্লির। চিকিৎসা নিয়ে কিছুদিন ভালো থাকেন। এরপর আবারও ২০২১ সালে ক্যান্সার ধরা পড়ে তার। শুক্রবার তার পরিবারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পরিবারের সবার মাঝে থেকেই আগেরদিন রাতে ভিয়াল্লি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ৫ বছর অগ্নাসয়ের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন তিনি।’
সেই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘যারা এই কঠিন সময়টাতে ভিয়াল্লির পাশে ছিলেন, তার জন্য শুভ কামনা জানিয়েছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। তার স্মৃতি এবং তার রেখে যাওয়া উদাহরণ সারাজীবন আমাদের হৃদয়ে স্থান করে নেবে।’
ফুটবলে সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসে পেলে, ম্যারাডোনার মতো কিংবদন্তি হয়েছেন অনেকে। ভিয়াল্লির গল্পটা ছিল অন্য রকম। বিলিওনিয়ার বাবার ছেলে বেড়ে উঠেছেন ৬০ রুমের রাজপ্রাসাদে।
তবে মাঠে আর দশজনের মতোই কঠোর পরিশ্রম করে পৌঁছান সাফল্যের চূড়ায়। তার পায়ের দ্যুতিতেই ১৯৯০-৯১ মৌসুমে প্রথমবার সিরি ‘এ’ জিতেছিল সাম্পদোরিয়া। ১৯৯২ সালে ১২.৫ মিলিয়ন ইউরোয় সাম্পদোরিয়া থেকে জুভেন্টাসে নাম লেখান ভিয়াল্লি। দলবদলে সেটাই ছিল তখনকার বিশ্বরেকর্ড। অধিনায়ক হিসেবে জুভেন্টাসকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতিয়ে নিজের দামের প্রতিদানও দেন তিনি।,
ইতালির হয়ে ৫৯ ম্যাচে ১৬ গোল করেন ভিয়াল্লি। ১৯৯৮ সালে চেলসির খেলোয়াড় কাম কোচের দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি।