প্রতিপক্ষ কঠিন। গ্যারেথ সাউথগেট তাই ফিরে গেলেন তার মূল একাদশে। তবে বিশ্রাম থেকে ফেরা দল নিজেদের স্বরূপে মেলে ধরতে পারল না। দুর্দান্ত এক গোলে অবশ্য পথ দেখিয়েছিলেন হ্যারি কেইন। আশা জেগেছিল ইংল্যান্ডের ছয়ে ছয়ের। কিন্তু শেষ সময়ে তাদের উৎসব মাটি করে দেয় পোল্যান্ড। পোল্যান্ডের ওয়ারসতে বুধবার রাতে ‘আই’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।
ম্যাচে শুরুতে গতিময় ফুটবলের দেখা মিললেও কোনো পক্ষের আক্রমণে তেমন ধার ছিল না। ধীরে ধীরে খেলাও কিছুটা গতি হারায়। ২১তম মিনিটে হ্যারি কেইন একটা সুযোগ পেয়েছিলেন; কিন্তু ৬ গজ বক্সের মুখে বল পেয়েও তিনি হেড করলেন প্রতিপক্ষ বরাবর। ৮ মিনিট পর পোল্যান্ডের রবের্ত লেভানদোভস্কি বিপজ্জনক জায়গায় বল পেলেও ঠিকমতো শট নিতে পারেননি; ধরতে কোনো সমস্যাই হয়নি ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডের।
নিরুত্তাপ প্রথমার্ধের শেষের বাঁশি বাজার পর কিছুটা উত্তাপ ছড়ায়। মাঠ ছাড়ার সময় দুই দলের খেলোয়াড়রা বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। ইংলিশ ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার ও পোলিশ ডিফেন্ডার কামিল গ্লিককে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
৬০তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। জ্যাক গ্রিলিশের ফ্রি-কিকে ম্যাগুইয়ারের হেড লাগে পোস্টের নিচে। ফিরতি বল জটলার মধ্যে পেয়েছিলেন স্টার্লিং, তবে ততক্ষণে অফসাইডের পতাকা উঠে যায়।
কোনো কিছুতেই যখন কিছু হচ্ছিল না, ৭২তম মিনিটে অনেক দূর থেকে জোরালো শট চেষ্টা করেন কেইন। বল সামনে এক খেলোয়াড়ের ওপর দিয়ে গিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেয়। গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যাসনি ঝাঁপিয়ে চেষ্টা করলেও নাগাল পাননি।
৮১তম মিনিটে পিকফোর্ডের অসাবধানতায় বিপদে পড়তে পারত ইংল্যান্ড। সামনে প্রতিপক্ষের দিকে খেয়াল না করে গোল কিক নেন তিনি। ছুটে গিয়ে পা বাড়িয়ে দেন কারোল সিদারেস্কি। বল তার পায়ে লেগে যাচ্ছিল জালের দিকে। গতি না থাকায় দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেলেন পিকফোর্ড।
একটু একটু করে ম্যাচ শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল আর জোরাল হচ্ছিল ইংলিশদের জয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে সব ভেস্তে দেন শিমানসকি। বাঁ থেকে লেভানদোভস্কির দূরের পোস্টে বাড়ানো দারুণ ক্রসে হেডে দলকে উল্লাসে ভাসান এই মিডফিল্ডার।
৬ ম্যাচে ৫জয় ও এক ড্রয়ে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ১৬। আলবেনিয়া ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে। তিন নম্বরে পোল্যান্ডের পয়েন্ট ১১। হাঙ্গেরি ১০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে।