রাজধানীর মিরপুর এলাকায় পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভরত গার্মেন্টসকর্মীরা আগুন ধরিয়ে দেন বলে জানা গেছে। এ সময় মিরপুর-১৪ কচুক্ষেত এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এবং যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে মিরপুর ১৪ ও কচুক্ষেত এলাকার একাধিক কারখানা থেকে হাজারো গার্মেন্টসকর্মী সড়কে অবস্থান নেন। তারা চাকুরিচ্যুতি ও একটি স্থানীয় পোশাক নির্মাণ কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর দুটি পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর-১৪ নম্বরের কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। এ সময় তারা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের শান্ত করতে গেলে প্রথমে শ্রমিকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে আত্মরক্ষায় পুলিশও লাঠিচার্জ করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেন শ্রমিকরা। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে দেওয়া আগুন নিয়ন্ত্রণ নিভিয়েছে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ডিউটি অফিসার লিমা খানম বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে কচুক্ষেতে আগুন লাগার খবর পাই আমরা। পরে ঘটনাস্থলে আমাদের দুটি ইউনিট গিয়ে গাড়ি দুটির আগুন নেভায়।
ভাষানটেক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকেই রাস্তায় ছিলাম। গার্মেন্টস শ্রমিকরা হঠাৎ করে তাদের আন্দোলন থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে বলেও জানান তিনি।