তীব্র গরমে অতিষ্ঠ তিন মহাদেশের মানুষ। দাবানল বাড়ছে। সে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
এদিকে বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে জুলাই মাসের আরো তীব্রতর তাপ যা প্রতিদিনই রেকর্ড তৈরি করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে বিশ্ব উত্তপ্ত হচ্ছে। আর ধ্বংস হচ্ছে আবহাওয়া।
বিভিন্ন দেশের সরকার এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলসমূহে ভোগান্তিতে থাকা জনগণের জন্যে নানা ধরনের সতর্কতা জারি করছে।
গ্রিসে দু’টি দাবানল শক্তিশালী বাতাসের কারনে তীব্র রূপ নিয়েছে। দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে পশ্চিম এথেন্স ও আরেক পর্যটন দ্বীপ রোডস পর্যন্ত যেখান থেকে লোকজন পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
ফ্রান্সে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।
বেইজিংয়ে ২৩ বছরের ইতিহাস ভেঙে গত সাতদিন ধরে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।
তাবদাহের কারনে বেইজিং সরকার বয়স্ক ও শিশুদের ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, তীব্র তাবদাহের কারনে স্বাস্থ্যসেবা পদ্ধতি চাপের মুখে পড়েছে। বয়স্ক, শিশু ও নবজাতক প্রচণ্ড গরমে ভোগান্তিতে রয়েছে।
এদিকে গ্রিস ও কেনারি দ্বীপে অগ্নিনির্বাপক সদস্যরা দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্পেন উচ্চ তাপমাত্রার কারনে রেড এলার্ট জারি করেছে।
ইতালির সারদিনিয়া ও সিসিলি দ্বীপে তাপমাত্রা ৪৮দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
বুধবারও আমেরিকার লাখ লাখ লোককে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে হয়েছে। টেক্সাসের সান এঞ্জেলো শহরে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাবে বলে আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে।
এমনকি ইরাকে জুলাই মাসে তাপমাত্রা সাধারণত গড়ে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে অবস্থান করে। কিন্তু এবারে তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা তারচেয়েও বাড়তে পারে। এ পূর্বভাসের কারনে বসরার মেয়র বৃহস্পতিবার সরকারি কর্মীদের জন্যে ছুটি ঘোষণা করেছে।
ফ্রান্সের জলবায়ু বিষয়ক ইন্সস্টিটিউট পিয়েরে সিমন লাপেলেসের পরিচালক রবার্ট ভটার্ড বলেছেন, ইউরোপ ও বিশ^জুড়ে চলা এই তাবদাহ কেবল একটি কারণে নয়, একাধিক বিষয় এতে রয়েছে। তবে তাপ তীব্ররূপ নেয়ার একটিই কারণ। আর সেটা হল জলবায়ু পরিবর্তন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জলবায়ু পর্যবেক্ষণ সংস্থা বলছে, বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে উষ্ণতম জুলাই। মাসের প্রথম ১৫ দিনের প্রতিদিনই তীব্র তাপ রেকর্ড করা হয়েছে।