২০২৩ সালে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২০০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। আগামী বছরও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে নতুন বছরে মূল্যবান ধাতুটির মূল্য বাড়বে। অস্ট্রেলিয়ার ইভল্যুশন মাইনিং লিমিটেডের নির্বাহী চেয়ারম্যান জেক ক্লেইন এ আভাস দিয়েছেন।
ব্যবসাভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) মুদ্রানীতি ব্যাপক কঠোর করেছে। ফলে চলতি বছর স্বর্ণের দাম ৪ শতাংশ কমেছে।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আরেক দফা সুদহার বাড়াতে পারে ফেড। এমনটি হলে দামি ধাতুটির দর হ্রাস পেতে পারে। তবে তা স্বল্প সময়ের জন্য। পরে আবারও স্বর্ণের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।
সম্প্রতি বৈঠক করেছে ফেড। সেখানে মিনিট প্রকাশ করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে ফের সুদের হার বৃদ্ধির ইঙ্গিত মিলিছে।
মাইনিং বিশেষজ্ঞ জেক ক্লেইন ব্লুমবার্গ টিভিকে বলেন, এর মানে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। যেটা স্বর্ণের আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য সুবাতাস।
গত বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হয় ১৭৬৫ ডলার ৩০ সেন্টে। ২০২০ সালে আগস্টে মূল্যবান ধাতুটির মূল্য রেকর্ড বৃদ্ধি পায়। সেসময় আউন্সপ্রতি দাম ছিল ২০৭৫ ডলার ৪৭ সেন্ট। চলতি বছরও এর কাছাকাছি পৌঁছে যায় স্বর্ণের দর। পরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে গিয়ে তা কমে যায়।
তিনি বলেন, ইভল্যুশনের বার্ষিক আয় ৬ শতাংশ নিম্নমুখী হয়েছে। নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ২২৪ মিলিয়ন ডলার। তবে ২০২৩ অর্থবছরে স্বর্ণের উৎপাদন ১২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। কারণ, দাম বাড়তে পারে।