বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল এর কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহফুজুর রহমান রাহাত এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন যে, করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ মাস যাবত সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পিছিয়ে পরেছে জাতির ভবিষ্যত খ্যাত আমাদের শিক্ষার্থীরা। সারাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের সমান সুযোগ না থাকলেও, অনলাইনে চলছে বৈষম্যমূলক শিক্ষা কার্যক্রম। অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে গিয়ে জীবন ও জীবিকার অমানবিক বিপর্যয়ের এই সময়ে অভিভাবকদের গুণতে হচ্ছে বাড়তি অর্থ। ঝুলে আছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া লাখো শিক্ষার্থীদের অনিশ্চিত ভবিষ্যত।
এমতাবস্থায়, গতকাল ১ জুন ২০২১ ইং তারিখে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতবিনিময় সভায়, হল না খুলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে পরীক্ষা নেয়ার মত একটি উদ্ভট সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একদিকে আমাদের অর্থনৈতিক বিপর্যয়, অপরদিকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাময়িক সময়ের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়ায় গণ পরিবহন ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশ নেয়া, অমানবিক এই সময়ে অমানবিকতর একটি সিদ্ধান্ত বলে আমরা মনে করি।
এমতাবস্থায় অনলাইনে এসাইনমেন্ট আকারে পরীক্ষা গ্রহণ কিংবা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আবাসিক হল খুলে দেয়াই হতে পারে উত্তম বিকল্প। অন্যথায় প্রতি পরীক্ষার্থীর বিপরীতে আবাসন বাবদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করার দাবী জানাই।