1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ অপরাহ্ন

প্রতি রাতে ক্ষুধা নিয়ে ঘুমান প্রায় ৮৩ কোটি মানুষ: এফএও

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

বিশ্বের জনসংখ্যার শতকরা ১০ ভাগ মানুষ প্রতি রাতে অনাহারে ঘুমান। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এই তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, এক বছর আগে অনাহারে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার চেয়ে এখন ৪ কোটি ৬০ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে ৮২ কোটি ৮০ লাকে দাঁড়িয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময়ে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ।

এফএও এর তথ্যানুসারে, অনাহারে থাকা ঘুমাতে যাওয়া মানুষের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ নারী। তাদের শতকরা ৮০ ভাগ জলবায়ু পরিবর্তনপ্রবণ এলাকায় বসবাস।

শরীর পর্যাপ্ত খাদ্য থেকে প্রলম্বিত সময়ের জন্য বঞ্চিত হলে তাকে ক্ষুধা হিসেবে ধরা হয়। দীর্ঘ সময়ের এই অবস্থায় স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটা সারাজীবনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

খাদ্য সংকটের ফলে অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের শরীরে শক্তি, গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ লবন ও প্রোটিনের ঘাটতি দেখা দেয়। এক দশক ধরে এই ক্ষুধা বা খাদ্যাভাব কমে এসেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তা আবার বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এফএও-এর তথ্য বলছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে  অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের সংখ্যা ১৫ কোটি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর জন্য দায়ী যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক আঘাত ও করোনা মহামারি।

জাতিসংঘের ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট অনুসারে, এশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের বসবাস। এই মহাদেশে ২০২১ সালে ৪২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অনাহারে কাটিয়েছেন। তবে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি আফ্রিকায়। ওই বছর তাদের সংখ্যা ২৭ কোটি ৮০ লাখ। যেসব মানুষ খাদ্যের মারাত্মক সংকটে ভুগছেন, তাদের জীবন ও জীবিকা অত্যাসন্ন বিপদের মুখে পড়েছে। ২০২২ সালে চতুর্থ বছরের মতো তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২৩ সালের গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস অনুযায়ী, এমন মারাত্মক ক্ষুধার মুখে আছেন ২৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি