ওডিআই ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়েছিলেন ১৪ মাস আগে ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচের হিরোকে ২০২৩ বিশ্বকাপে ফিরিয়ে আনার দায়িত্বটা ইংল্যান্ডের কোচ-নির্বাচকরা দিয়েছিলেন ওডিআই অধিনায়ক জস বাটলারকে।
স্টোকসকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ফিরিয়েছেন বাটলার ওডিআই ম্যাচে। ফিরেই কার্ডিফে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি (৫২) উদযাপন করেছেন। পরের ম্যাচে সাউদাম্পটনে ১ রানে ফেরার কষ্টটা লাঘব করেছেন বুধবার রাতে।
ইংল্যান্ড ক্রিকেটে ইতিহাসে ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস উপহার দিয়েছেন স্টোকস ওভালে। ১২৪ বলে ১৫টি বাউন্ডারি, ৪টি ছক্কায় ১৪৬.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ১৮২ রানে গড়েছেন ইতিহাস। এতোদিন ওডিআই ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল জেসন রয়-এর। ২০১৮ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫০ বলে ১৮০ রানের সেই ইনিংসটি টপকে এখন ইংল্যান্ডে সর্বোচ্চ ইনিংস বেন স্টোকসের। স্টোকস ঝড়ের রাতে মালান-স্টোকসের ১৬৫ বলে ১৯৯ রানের পার্টনারশিপে ওভালে নিউ জিল্যান্ডকে রান পাহাড়ে চাপা দিয়েছে ইংল্যান্ড।
৩৬৮/১০ স্কোর পুঁজিকে ১৮১ রানের বিশাল জয়ে পরিণত করেছে ইংল্যান্ড। যে জয়ে ৪ ম্যাচের ওডিআই সিরিজ ২-১ এ এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
স্টোকস এদিন শুরু থেকেই স্ট্রাইক রেটে মনযোগ দিয়ে করেছেন ব্যাটিং। ৪৪ বলে ফিফটি, ৭৬ বলে ওডিআই ক্যারিয়ারে ৪র্থ সেঞ্চুরি, ১০৬ বলে ১৫০-এভাবেই একটার পর একটা মাইলস্টোন করেছেন। ১৮২ রানের ইনিংসে ১৫ বাউন্ডারি, ৪ ছক্কার পাশে ৫৪টি সিঙ্গল, ৭টি ডাবল নিয়েছেন তিনি।
২৩ রান পূর্ণ করে ওডিআই ক্রিকেটে ৩ হাজারী ক্লাবের সদস্যপদ পেয়েছেন। জেসন রয়কে টপকে রেকর্ডময় রাতে বেন স্টোকস ইংল্যান্ডের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরিও করতে পারতেন। তবে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৩৩ বল আগে লিস্টারের বলে ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন স্টোকস ১৮২ রানে।
স্টোকসের রাতে ৪ রানের আক্ষেপ মালানের। বোল্টের ডাউন দ্য লেগ ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মালান ৯৬ রানের মাথায় (৯৫ বলে ১২ চার, ১ ছক্কা)। আলট্রা এজ-এ ধরা পড়ে ফিরেছেন তিনি ৫ম সেঞ্চুরি হাতছাড়া করার কষ্টে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ৫৫/২ স্কোর, শেষ পাওয়ার প্লে-তে ৬১/৬। এর পরও ইংল্যান্ডের স্কোর ৩৬৮/১০। তা সম্ভব হয়েছে ইনিংসের মাঝের ৩০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান যোগ করতে পারায়।
নিউ জিল্যান্ড বোলারদের মধ্যে বোল্ট পেয়েছেন ৬ষ্ঠ বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট।ফার্গুসন এদিন খেয়েছেন ভীষণ মার (৯-০-৮০-১)।
৩৬৯ রান চেজ করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নিউ জিল্যান্ড। স্কোরশিটে ৩৪ উঠতে ৪ উইকেট হারিয়ে চোখে সরষের ফুল দেখা নিউ জিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত স্কোর ১৮৭ পর্যন্ত টেনে নিতে পেরেছে গ্লেন ফিলিপের ৭৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসের কল্যানে। ইংল্যান্ডের পেসার ওকস ৩টি (৩/৩১), টপলে ২টি (২/৩১) এবং স্পিনার লিভিংস্টোন ৩টি (৩/১৬) উইকেট পেয়েছেন।
ইংল্যান্ড : ৩৬৮/১০ (৪৮.১ ওভারে)
নিউ জিল্যান্ড : ১৮৭/১০ (৩৯.১ ওভারে)
ফল : ইংল্যান্ড ১৮১ রানে জয়ী।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ : বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)।