নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অনন্য উচ্চতায় চলে যাওয়ায় বাংাদেশ বিশ্বের পরাশক্তিদের চিন্তার বড় বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (এসবি) মো. মনিরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (ট্রাফিক) মো. জাহাঙ্গীর কবীর।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুল্ক স্টেশনগুলোর সুবিধার কথা চিন্তা করে সীমান্তে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং ব্যবসায়ীদের সুবিধার লক্ষ্যে ২০০১ সালের ১৪ জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে স্থিতিশীলতা এনে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ২২ বছরে ১৫ টি স্থলবন্দর চালু হয়েছে, আরো নয়টি স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন চলছে। স্মার্ট স্থলবন্দর, স্মার্ট সেবা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০১ সালের অক্টোবরের নির্বাচনের পর দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষের নিরাপত্তা ছিল না। স্থলবন্দরগুলোকে দলীয়করণের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ব্যক্তির বিশেষের হাতে চলে যায়। রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করা হয়েছে। দিনাজপুরে বিরল ও রাঙ্গামাটির তেগামুখ স্থলবন্দরের উন্নয়নে চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো সমাধানের পথ পেয়েছি, ভারতের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করা হচ্ছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়েও পরাশক্তিরা বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা করেছে। অন্য সরকারের সময় পরাশক্তিরা বাংলাদেশকে হাতের পুতুল মনে করত।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, কারো কাছে মাথা নত করার জন্য নয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারের হত্যা করার পর বাংলাদেশ তাবেদারী রাষ্ট্র পরিণত হয়েছিল। বর্তমানে সে অবস্থা নেই।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন আমাদেও গর্ব ও অহংকারের জায়গায় নিয়ে গেছে। বাংলার মানুষ তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গে আছে এবং থাকবে।