অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশক ধরে দেশে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখনও ভালো অবস্থানে আছে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মি. অর্নুদ হেমেলার্সসহ ইফাদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সভায় অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে এ ভার্চুয়াল সভায় যুক্ত ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মিজ ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ সংকটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পেরে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের যুগোপযোগী ও সাহসী পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী গত ১০ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, বিশেষ করে কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন ইফাদ প্রতিনিধি দলের কাছে। গ্রামীণ অর্থনীতি তথা কৃষি, অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহে ইফাদের অনুদান সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেই সঙ্গে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান, ফুড প্রসেসিং, ভবিষ্যতে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য জিইএফ এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী তহবিল থেকে বাংলাদেশে অর্থায়নের জন্য ইফাদকে অনুরোধ জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, পৃথিবীতে যখন এক বিলিয়ন মানুষ ছিল তখনও অসংখ্য মানুষ অভুক্ত থাকত, কিন্তু আজ বিশ্বে জনসংখ্যা সাড়ে সাত বিলিয়নের উপরে। তারপরও মানুষ অভুক্ত থাকে না বললেই চলে। এ ক্ষেত্রে ইফাদ, এফএওর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ কৃষি উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কৃষকদের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আসন্ন ৪৫তম ইফাদের গভর্নিং কাউন্সিলের সফলতা কামনা করেন।
ইফাদের নতুন কান্ট্রি ডিরেক্টর অর্নুদ হেমেলার্স ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জন, জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, জেন্ডার, পুষ্টি, আদিবাসী জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ইত্যাদি উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইফাদের কারিগরি জ্ঞান, উদ্ভাবনী চিন্তা ও অভিজ্ঞতার আলোকে দারিদ্র্য, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের কাজে লাগিয়ে কৃষি প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি, গ্রামীণ এলাকার কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।