গত মাসের শুরুর দিকে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। বিদায় বলতে গিয়ে সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওয়ানডে অধিনায়ক। তামিমের সিদ্ধান্তটা ছিল অভিমানে, তা স্পষ্টই বোঝা যায়। সেটা নিয়ে রীতিমত তোলপাড় হয় তখন।
ঘটনার পরের দিন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার মধ্যস্থতায় তামিমকে গণভবনে ডাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই অবসর প্রত্যাহার করে নেন তামিম।
এ ঘটনার মাস না পেরোতেই গতকাল নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তামিম। এবার আর আবেগপ্রবণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ সবার সঙ্গে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দেশসেরা ওপেনার। কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও। বুঝিয়ে বলেছেন পুরো পরিস্থিতি।
গত রাতের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আজকে (কালকে) আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা মিটিং ছিল জালাল ভাই (ক্রিকেট অপস প্রধান জালাল ইউনুস) ও (নাজমুল হাসান) পাপন ভাইয়ের সঙ্গে। আমার সবকিছু নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আর আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নিজের থেকে ওনাদের বলেছি যে আজ (কাল) থেকে আমি ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
তামিম যোগ করেন, ‘আমার চোট একটা কারণ। যে ইনজেকশনটা নিয়েছি ওটা হিট অ্যান্ড মিসের মতো। আমার কাছে দল আগে। দলের কথা চিন্তা করে আমার নেতৃত্ব ছাড়াটা সবচেয়ে ভালো বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছি। উনি বুঝেছেন।’
নেতৃত্ব ছাড়লেও খেলা চালিয়ে যেতে চান তামিম। এশিয়া কাপে না খেললেও তাকে দেখা যেতে পারে বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। তামিম বলেন, ‘মূল বিষয় হলো, দলের ভালোর জন্য আমি নেতৃত্ব ছাড়ছি এবং একজন ক্রিকেটার হিসেবে খেলতে চাই।’