কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
হাতি যে ধরনের খাদ্য খায়, তার পথে সে ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে; যাতে হাতি সেই পথ দিয়ে চলাচল করে। এটা দীর্ঘদিন আমরা সিসিটিভিতে মনিটরিং করে এবং ইন্টারন্যাশনাল এক্সপার্টরা ডিজাইন করেছে, সেভাবে এটা হয়েছে। আমাদের জানা মতে, এশিয়াতে আর হাতির জন্য কোনো ওভারপাস বা আন্ডারপাস নেই। এটাই প্রথম।”
সুবক্তগীন বলেন, এরপর কক্সবাজার যে রেলওয়ে স্টেশনটা, এটা আধুনিক একটা ভবন। স্টেশনের অপারেশন সুবিধা ব্যাপক হারে আছে। লিফট ও এসকেলেটর আছে বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের জন্য। ফুড কোর্ট, আবাসিক, যাত্রীদের জন্য লকার ব্যবস্থা সব কিছু রাখা হয়েছে।
“একজন পর্যটক আলাদা করে হোটেলে না থাকলেও পারবেন। সেখানে লাগেজ রাখতে পারবেন। স্বল্প খরচে কেউ থাকতে চাইলে সেখানে থাকতেও পারবেন। ভালো মানের অপারেটর দিয়ে সেটি পরিচালনা করা হবে।”
কালুরঘাট সেতুর মেরামত কাজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে সুবক্তগীন বলেন, “কালকে সেখানে ট্রায়াল হবে।”
এ রেলপথ নির্মাণের আগে কক্সবাজারের সঙ্গে কোনো রেল যোগাযোগই ছিল না। শুরুতে এটি ছিল ‘দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ’ প্রকল্প। এতে মোট ১২৯ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার রেল লাইন নির্মাণের কথা ছিল। পরে রামু থেকে ঘুমধুম অংশের কাজ স্থগিত করা হয়। এখন চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে।
প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) প্রকল্প সহায়তা দিচ্ছে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা এবং বাকি ৪ হাজার ১১৯ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের জন্য দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার অংশে কক্সবাজার জেলায় ১ হাজার ৩৬৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয়েছে ৯টি রেলওয়ে স্টেশন, চারটি বড় ও ৪৭টি ছোট সেতু, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট এবং ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। বর্তমান সরকার ২০১০ সালে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ১১ নভেম্বর ২০২৩ ইং শনিবার সকাল ১১:৪০ ঘটিকায় কক্সবাজার আইকনিক ভবনে ট্রেন চলাচলের শুভ উদ্বোধন করবেন।