জাতীয় সংসদের সংসদনেত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কে চ্যালেঞ্জ করে সড়কের সওজ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির কয়েকজন প্রকৌশলী সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা দুর্নীতি করবে। তাদের দুর্নীতি কে সুরক্ষা দেয়ার জন্য তারা অন্দরে বাহিরে ঐক্যবদ্ধ থেকে মিডিয়াকে মোকাবেলা করার জন্য বিভিন্ন ভাবে মতবিনিময় করছে। সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার তেজগাঁও সড়ক ভবন কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় সড়ক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী অ্যাসোসিয়েশন এর সাবেক এক নেতা কতিপয় দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিকে জানিয়েছেন। দুর্নীতিবাজদের সংবাদ একের পর এক বের হয়ে আসতে থাকে গত দু-তিন মাস ধরে। লাগাতার আকাশচুম্বী দুর্নীতিবাজদের খবরে সরকার বিব্রত। সরকার প্রধান সহ রাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান ব্যক্তিগণ দূর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। তারা তাদের উপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের কর্তব্য থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
“দেশের প্রধানমন্ত্রী সার্বভৌম সংসদের সংসদ নেত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সংসদের অধিবেশনে জাতির উদ্দেশ্যে পরিষ্কার বলেছেন দুর্নীতিবাজদের ছাড় নয়, দুর্নীতির ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে চলবে। দুর্নীতিবাজ যতই শক্তিশালী হোক ছাড় পাবে না।”
“দেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিচারালয়ের এজলাসে বসে বলেছেন দুর্নীতিবাজদের ধরা হবে ছাড় দেয়া হবে না, দুর্নীতি যেই করুক আইনে তার ছাড় দেওয়া হবে না।”
সড়ক ও সেতু মন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দূর্নীতি বাজদের ছাড় নয়, ধরা শুরু হয়ে গেছে। নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন সাবধান হয়ে যান, যদি কেউ দুর্নীতি করে তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না, আলামত চলছে।
রাষ্ট্রের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগণকে চ্যালেঞ্জ করে সড়কের ডিপ্লোমা কতিপয় প্রকৌশলীর দুর্নীতিকে সংঘবদ্ধভাবে সুরক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিতে সড়ক বিভাগের একজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর আয় বহির্ভূত সম্পদের বিশদ বিবরণ সহ সরেজমিনে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। ধারাবাহিক প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয়, দুদক, সড়ক বিভাগ সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে অবহিত হন এবং সড়ক বিভাগ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী শাহজাদা ফিরোজ কে তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত অভিযোগ সম্পর্কে জবাব দেওয়ার জন্য তলব করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র গুলো জানায়। সড়ক বিভাগের তলব পত্র পেয়ে প্রকৌশলী শাহজাদা ফিরোজ ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি সড়কের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সঙ্ঘবদ্ধ করে গত বুধবার ১০ জুলাই সড়ক ভবনের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়ে সভা করেন। তিন ঘন্টা ব্যাপী রুদ্ধ দ্বার এই আলোচনায় দুর্নীতি মাধ্যমের অর্জিত সম্পদ কিভাবে সুরক্ষা করা যায় এবং দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিকে বয়কট সহ প্রতিরোধ করতে বলা হয়, রুদ্ধদ্বার সেই বৈঠকে সাংবাদিককে কোন মিডিয়ার সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির প্রতিনিধি ঢুকতে চাইলেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি, তবে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি সে সভার বক্তব্য সংগ্রহ করে বিভিন্ন তথ্যসূত্রের মাধ্যমে।
এখানে উল্লেখনীয় বিষয় হলো, অপরাধ করার পর সে অপরাধ প্রকাশ হলে সাধারন ভিকটিম লাজ লজ্জার ভয়ে অপমানের আতংক থাকে। পুলিশের সাবেক আইজি বেনজির আহমেদ ও এনবিআররে মতিউর রহমানের মত প্রথম শ্রেনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা তাদের অপরাধ প্রকাশিত হবার পর তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে কিংবা আত্ন গোপনে চলে গেছেন। সেখানে সড়কের শাহজাদা অপরাধকে বিকাশিত করার জন্য সংঘবদ্ধতা দিয়ে কাজ করার ঔদ্ধত্য দেখাবেন, সংশ্লিষ্টদের নিশ্চয় এ বিষয়টি মাথায় নিয়ে গুরুত্বের সাথে কাজ করবেন বলে সাধারন মানুষ মনে করে।