ঝিনাইদহে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম (৫২) এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সদর উপজেলার সাগান্না প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ থেকে বুধবার(১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এই মরদেহ দেখতে পায় স্কুলের স্টাফরা। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নজরুল ইসলাম সাগান্না গ্রামের মৃত সালাহউদ্দিন মাস্টারের ছেলে। সংসারে ১ স্ত্রী ও ৩ মেয়ে রয়েছে নজরুল ইসলামের। বর্তমানে তিনি স্ত্রী সন্তানসহ চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে কয়েক মাস
বসবাস করছিলেন। জানাগেছে,১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার স্কুলে ছিলেন নজরুল ইসলাম। কিন্তু তিনি রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। এই রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় জিডি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলা থাকলেও স্কুলে আসেননি প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম।
বুধবার সকালে স্কুলে অন্যান্য শিক্ষক ও দপ্তরি স্কুলের মাল্টিমিডিয়া দুমের গ্রিলে ভিতর থেকে তালামারা অবস্থায় দেখে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অবহিত করে গ্রিলের তালা ভেঙে শ্রেণিকক্ষের ভিতরে নজরুল ইসলামের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তবে শ্রেণি কক্ষের দরজায় তালা লাগানো ছিল না বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলে থেকে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা জানান, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আত্মহত্যা। মরদেহ ময়না তদন্তে পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। ঘটনাস্থলে সরেজমিন তদন্ত করেছেন সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, সিআইডি,পিবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থা। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা জানান,শ্রেণি কক্ষের চাবি
প্রধান শিক্ষক ও দপ্তরি অভিময় ঘোষের কাছে থাকে।এদিকে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,সরকার স্কুল খোলার নির্দেশ দিলেও ক্লাস হয়নি এই প্রতিষ্ঠানে। যারা কারণে বন্ধ শ্রেণি কক্ষের খবর নেই স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে স্থানীয়দের প্রশ্ন এত জায়গা রেখে এই শিক্ষক স্কুলের শ্রেণি কক্ষেই কেন আত্মহত্যা করলেন। মরদেহ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যে পাওয়া যায়নি নজর“ল ইসলামের স্ত্রী ও সন্তানদের।