ভোল প্রতিনিধি: ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী মোঃ সবুজ এর কাছে বিভিন্ন সময় ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কাচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশিক মেম্বার ও তার সহযোগী মোঃ সোহাগ, মোঃ মিরাজ সহ অজ্ঞাত আরো ১০ জনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী প্রবাসী মোঃ সবুজ ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দীর্ঘ সময় প্রবাসে থাকার পরে দেশে এসে নিজ বসত ভিটায় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করলেই আশিক মেম্বার গংদের শুরু হয়ে যায় চাঁদাবাজির বিভিন্ন প্রক্রিয়া। ভবন নির্মাণ করাকালীন বিভিন্ন সময় প্রবাসী সবুজের ভবন নির্মাণের সাইডে এসে বিভিন্ন কৌশলে হুমকি ধামকি দিয়ে প্রবাসী মোঃ সবুজ এর কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের কারেন ভুক্তভোগী মোঃ সবুজ।
ভোলা সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, থানায় অভিযোগ দায়ের করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাত ৮.৩০ মিনিটে আশিক মেম্বার ও তার দলবল নিয়ে প্রবাসী মোঃ সবুজের নির্মানাধিন ভবনের সামনে এসে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। প্রবাসী মোঃ সবুজ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আশিক মেম্বার তার নবনির্মিত ভবনের ভিতর ঢুকে তার দলবল নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন শুরু করে। এ সময় প্রবাসী মোঃ সবুজ তাদের কে বাঁধা দিলে আশিক মেম্বার এর দলবল প্রবাসী মোঃ সবুজ এর উপর হামলা চালায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রবাসী মোঃ সবুজ বলেন, “চাঁদা দাবি করা আশিক মেম্বার গংরা বর্তমানে আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে টাকা চেয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এমনকি বর্তমানে আমার বসতবাড়ির সামনে আশিক মেম্বার গংদের লোকেরা এসে নেশা জাতীয় দ্রব্য সেবন করে এবং আড্ডা দেয়। প্রতিনিয়ত আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
আমেরিকা প্রবাসী মোঃ সবুজ এর থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের সূত্র ধরে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, কাচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে যেন এক অপরাধের স্বর্গরাজ্য। এই স্বর্গরাজ্যের রাজা হলো কাচিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আশিক মেম্বার। স্থানীয়রা অনেকেই আশিক মেম্বারের অপকর্মের কথা মুখ খুলে বলতে ভয় পাচ্ছে। কারন কাচিয়া ইউনিয়নের সকল অপকর্ম তার ছত্রছায়ায় হয়। মাদক, জুয়া, নারি কেলেঙ্কারি, চাঁদাবাজি এক মহা স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছে আশিক মেম্বার। আশিক মেম্বারে ছত্রছায়ায় একটি কিশোর গ্যাং স্ট্যাকিং কমিটি বিদ্যমান। দীর্ঘ সময় আইনি জটিলতার কারনে ঐ ইউনিয়নের নির্বাচন না হওয়ায় বিনা ভোটে জনপ্রতিনিধিত্ব করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে তার সাথে কোন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডের সম্পৃক্ততার খোজ পাওয়া যায়নি। পাওয়া গিয়েছে মাদক, জুয়া সহ অপরাধ সংশ্লিষ্ট সকল ধরনের অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায় বেশ কিছুদিন আগে ইয়াবাসহ র্যাবের হাতেও আটক হয় এই আশিক মেম্বার। তার ক্ষমতার দাপটে আইনের ফাকফোকর দিয়ে মাদক মামলা থেকে সে নিস্পত্তি নেয়। স্বার্থের দ্বন্দ্বে আশিক মেম্বার গংরা নিজের আপন জনদেরকেও ছাড় দেয়নি। তারই বাস্তব উদাহরণ হল উদ্যোক্তা পাপিয়া চৌধুরী। সোশ্যাল মিডিয়ায় গণমাধ্যমে দেখা যায় ভোলার উদ্যোক্তা পাপিয়া চৌধুরী ফেসবুক লাইফে এসে আশিক মেম্বারের বিরুদ্ধে অপকর্মের বেশ কিছু তথ্য চিত্র তুলে ধরেন।